July 4, 2025
আন্তর্জাতিক

জাপানে ২ সপ্তাহে ৯০০ ভূমিকম্প, ঘুমাতে পারছেন না বাসিন্দারা

জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের তোকারা দ্বীপপুঞ্জে মাত্র দুই সপ্তাহে ৯০০-রও বেশি ভূকম্পন রেকর্ড করা হয়েছে। দেশটির আবহাওয়া সংস্থা বুধবার (২ জুলাই) এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে। একটানা কাঁপন ও ভূমিকম্পের কারণে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কগ্রস্ত ও ঘুমহীন সময় পার করছেন বলে জানা গেছে।

জাপান মেটেওরোলজিক্যাল এজেন্সির ভূমিকম্প ও সুনামি পর্যবেক্ষণ বিভাগের পরিচালক আয়াতাকা এবিতা জানান, ২১ জুন থেকে তোকারা দ্বীপপুঞ্জ সংলগ্ন সাগর এলাকায় ভূমিকম্প প্রবণতা অত্যন্ত সক্রিয় রয়েছে। আজ বিকেল ৪টা পর্যন্ত ৯০০-র বেশি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে।

বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ৩টা ৩০ মিনিটে ৫ দশমিক ৫ মাত্রার একটি ভূমিকম্পের পরপরই জরুরি ব্রিফিং ডাকে কর্তৃপক্ষ। তবে এখন পর্যন্ত বড় কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

তোকারা গ্রামের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মানুষজন ঘুমাতে পারছে না। তারা ক্লান্ত এবং আতঙ্কে রয়েছে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা জাপানের এমবিসি চ্যানেলকে বলেন, এমন মনে হয়, যেন সব সময় কাঁপছে। ঘুমাতে গেলেও ভয় লাগছে।

আরেকজন বলেন, এই কাঁপুনি কখন থামবে তা কেউ জানে না। আমার সন্তানদের সরিয়ে নেওয়ার কথাও ভাবছি।

অবশ্য ওই এলাকায় এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরেও তোকারা এলাকায় টানা ভূকম্পনের এমন প্রবণতা দেখা গিয়েছিল। তখন দুই সপ্তাহে ৩৪৬টি ভূমিকম্প রেকর্ড হয়। তবে এবারের সংখ্যাটা সেটির প্রায় তিনগুণ।

তোকারা দ্বীপপুঞ্জে মোট ১২টি দ্বীপ থাকলেও তার মধ্যে সাতটি জনবসতিপূর্ণ। মোট জনসংখ্যা প্রায় ৭০০।

জাপান পৃথিবীর সবচেয়ে ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোর একটি। চারটি প্রধান টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত দেশটি বছরে প্রায় ১ হাজার ৫০০ ভূকম্পন অনুভব করে। বিশ্বের মোট ভূমিকম্পের প্রায় ১৮ শতাংশই ঘটে জাপানে।

ভূমিকম্পের মাত্রা মাঝারি হলেও ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ভর করে সেটি কোথায় ও কত গভীরে আঘাত হেনেছে তার ওপর। ২০২৪ সালের নববর্ষের দিন নোতো উপদ্বীপে এক ভয়াবহ ভূমিকম্পে প্রায় ৬০০ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন।

শেয়ার করুন: