November 12, 2025
খেলাধুলা

জয়ের সেঞ্চুরি, সাদমান-মুমিনুলের ফিফটিতে বাংলাদেশের দিন

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম দিনের শেষবেলায় বাংলাদেশ চমক দেখায়। আজ দ্বিতীয় দিনের খেলায় পুরোটা সময় তারা ছড়ি ঘুরিয়েছে। মাহমুদুল হাসান জয়ের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস, সাদমান ইসলামের ফিফটি ও মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিপ্রত্যাশী পারফরম্যান্সে দিনটা রাঙিয়ে দিলো বাংলাদেশ। এদিন ব্যাটিংয়ে নেমে আয়ারল্যান্ড মাত্র ২.২ ওভার টিকতে পেরেছে। বাকি দুই উইকেট হারিয়ে তারা স্কোরবোর্ডে প্রথম ইনিংসে জমা করে ২৮৬ রান। তারপর জয় ও সাদমানের ওপেনিং জুটিতে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডকে শক্ত জবাব দেয়। এই জুটি বিচ্ছিন্ন হয় ১৬৮ রান করে। সাদমান ১০৪ বলে ৮০ রানের ইনিংস খেলে বিদায় নেন। আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি জয় ও  মুমিনুল। দেশের মাটিতে প্রথম সেঞ্চুরি করেন জয়। আর মুমিনুলও ২৩তম ফিফটিকে সেঞ্চুরি বানানোর কাছে। ১২৪ বলে ৮০ রানে অপরাজিত তিনি। আর জয় ২৮৩ বলে ১৪ চার ও ৪ ছয়ে ১৬৯ রানে অপরাজিত আছেন। বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৩৮ রান। দিন শেষে বাংলাদেশের লিড ৫২ রানের। জয় ৭৭তম ওভারে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা রান ছুঁলেন। আগের ১৩৭ রানকে পেছনে ফেললেন তিনি। তারপর দুই ওভার বিরতি দিয়ে মারমুখী এই ব্যাটার। কুর্টিস ক্যাম্ফারকে দুটি ছয় ও একটি চার মেরে ১৬ রান তুলে নিলেন। প্রথম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে দেড়শ পার করেন তিনি। জয়ের সঙ্গে মুমিনুল হকও দারুণ খেলছেন। আগের ছয় ইনিংসে তার সর্বোচ্চ রান ছিল ৪৭। এর মাঝে ত্রিশের ঘর পার করেছিলেন আর মাত্র একবার। অফফর্মে থাকার পর মুমিনুলের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে একটা ভালো ইনিংসের প্রয়োজন ছিল। আজ সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ছক্কা মেরে ৭৫ বলে ২৩তম ফিফটি করলেন তিনি। জয়ের সঙ্গে তার শতক ছাড়ানো জুটিতে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডকে পেছনে ফেলে। এর আগে জয় আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনটা সেঞ্চুরিতে রাঙিয়েছেন। যা ঘরের মাঠে তার প্রথম ম্যাজিক ফিগার। এর আগে ২০২২ সালের মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে টেস্টে নিজের চতুর্থ ইনিংসে প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন জয়। ১৯০ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয় শতক তুলে নিলেন ২৪ বছর বয়সী এই ডানহাতি ওপেনার। ওপেনিংয়ে তার অপর সঙ্গী সাদমান সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও, জয় সেই পথে হাঁটেননি। সেঞ্চুরির পথে তিনি ৯টি চার ও একটি ছক্কার বাউন্ডারি খেলেছেন। প্রথম সেঞ্চুরির পর জয় ৩০ ইনিংসে খেলে কেবল তিনটি হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক হতে না পারায় বাদ পড়েন জাতীয় দলের স্কোয়াড থেকেও। সাম্প্রতিক সময়ে অবশ্য ঘরোয়া ক্রিকেটে ফর্ম দেখিয়েছেন জয়। সেই ফর্ম জাতীয় দলে টেনে এনে পেলেন টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। তার সঙ্গে সাদমানের উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ তুলেছিল ১৬৮ রান। যা গত ১০ বছরে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ। এর আগে দারুণ বোঝাপড়ায় এগিয়ে চলা জয়-সাদমানের জুটি ভাঙে বাঁহাতি আইরিশ স্পিনার ম্যাথু হামপ্রিসের। কিছুটা বাইরের বল কাট করতে দেরি করে ফেলেছেন সাদমান। যা তার ব্যাটের আলতো স্পর্শ নিয়ে উইকেটরক্ষক লরকান টাকারের হাতে ধরা পড়ে। আয়ার‌ল্যান্ডের আবেদনে প্রথমে সাড়া দেননি আম্পায়ার। রিভিউ নিয়ে প্রথম সাফল্য পায় সফরকারীরা। ১০৪ বলে ৯ চার ও ১ ছক্কায় ৮০ রানে থামেন সাদমান।
শেয়ার করুন: