September 17, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশিক্ষাশীর্ষ সংবাদ

ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মরণ করলো খুবির ইংরেজি ডিসিপ্লিন

সুমাইয়া আক্তার, খুবি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ক্লাস শুরুর প্রথম দিনেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও আহতদের দ্রুত সুস্থতার জন্য দোয়া মাহফিল এর আয়োজন করে ইংরেজি ডিসিপ্লিন। রবিবার ডিসিপ্লিনের স্মার্ট ক্লাসরুমে এ আয়োজন করা হয়।
ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দোয়ার পাশাপাশি বন্যার্তদের সহযোগিতার জন্য অনুদান সংগ্রহ ও পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বক্তব্যে তিনি বলেন, ছাত্রজনতার জীবনের বিনিময়ে আমরা যে নতুন স্বাধীনতা পেয়েছি তা রক্ষার জন্য সবসময় সচেষ্ট থাকতে হবে। প্রশাসনকে অনুরোধ জানাবো, এই মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ এবং আহত হয়েছে তাঁর তালিকা প্রস্তুত করতে হবে এবং তাঁদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ রোডম্যাপ তৈরি করতে হবে। আমাদের ছাত্র মুগ্ধের পানি নিয়ে দৌড়ানো বা আবু সাঈদের বুক চিতিয়ে দাড়ানো স্মরণ করিয়ে দেয় আবার কোনো স্বৈরশাসক এদেশের পতাকা খামছে ধরলে আমরা অধিকারের জন্য দাঁড়াবো।
চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ সুমন এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন ইংরেজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থী ও খুলনার অন্যতম সমন্বয়ক আয়মান আহাদ। তিনি বলেন, আমরা গত জুলাইয়ে যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গেছি তা এখনও ঘুমাতে গেলে চোখে ভাসে। মনে রাখতে হবে, এই স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র অব্যহত রয়েছে। সবাইকে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। আমরা সবাই যেহেতু স্টেকহোল্ডার, এই দেশের পুণর্গঠনে সকল সিস্টেমকে সহযোগিতা করতে হবে।
শিক্ষকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, প্রফেসর মো. সামিউল হক। তিনি বলেন, অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা এবং এর সুফল পাবার জন্য সকল পর্যায়ে চেষ্টা অব্যহত রাখতে হবে। এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী খালিদ মাহমুদ ও দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রেদওয়ানুল হক রাদ। দোয়া মাহফিলে বিভিন্ন বর্ষের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। দোয়া পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে পেশ ইমাম মুফতি আব্দুল কুদ্দুস।
দোয়া অনুষ্ঠান শেষে দেশের বন্যার্তদের জন্য তহবিল সংগ্রহের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও ডিসিপ্লিনের এলামনাই এসোসিয়েশন এবং বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে সম্ভাব্য উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা হয় এবং উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। তারা বন্যাদূর্গত অঞ্চলে মেডিকেল ক্যাম্প এবং পূণর্বাসন নিয়ে কাজ করার ব্যাপারে প্রাথমিক আলোচনা করেন।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন: