ছাঁটাই হচ্ছেন আসাদ আমলের তিন ভাগের এক ভাগ সরকারি চাকরিজীবী
সিরিয়ার সাবেক স্বৈরাশাসক বাশার আল-আসাদকে হটিয়ে গত বছরের ডিসেম্বরে ক্ষমতা দখল করে ইসলামপন্থি দল হায়াত তাহরির আল-শাম। এরপরই গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত দেশটির অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার দিকে মনোযোগ দেয় তারা।
এরঅংশ হিসেবে নতুন শাসকরা বর্তমান যেসব সরকারি চাকরিজীবী আছে তাদের তিন ভাগের এক ভাগকে ছাঁটাই করার পরিকল্পনা করছে। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়ারও ইচ্ছা আছে তাদের।
সরকারি অর্থ অপচয় ও দুর্নীতি বন্ধে এমন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি দেশটির নতুন সরকারের। ইতিমধ্যে অনেকেকে ছাঁটাই করা হয়েছে। যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের বিক্ষোভও করতে দেখা গেছে।
এই সরকারের পাঁচজন মন্ত্রী বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বলেছেন, এমন সরকারি চাকরিজীবীদের ছাঁটাই করা হবে যারা সাবেক প্রেসিডেন্ট আসাদের আমলে খুব কম কাজ করত বা কোনো কাজ না করেই বেতন পেত।
সিরিয়ার ৪০ বছর বয়সী অর্থনীতিমন্ত্রী বাসিল আব্দেল হানান রয়টার্সকে বলেছেন, বর্তমানে তাদের রাষ্ট্রায়াত্ত্ব ১০৭টি কোম্পানি রয়েছে। যেগুলোর প্রায় সবই লোকসান গুণছে। এগুলোর বেশিরভাগই বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে কোন কোন কোম্পানি বিক্রি করা হবে সেগুলোর নাম প্রকাশ করেননি তিনি। সিরিয়ার মূল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব কোম্পানিগুলোর মধ্যে তেল, সিমেন্ট এবং লোহার কারখানা রয়েছে।
অপরদিকে অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আবাজিদ বলেছেন, কিছু কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে শুধুমাত্র সম্পদ আত্মসাৎ করার জন্য। এই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, তাদের ১৪ লাখ সরকারি চাকরিজীবী থাকলেও মাত্র ৯ লাখ কাজ করেন। আর বাকি ৪ লাখ কাজে আসেন না বা এগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই। এই চাকরিজীবীদের ছাঁটাই করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রশাসন উন্নয়ন মন্ত্রী মোহাম্মদ আলসকাফ জানিয়েছেন, তাদের দেশ পরিচালনায় ৫ লাখ ৫০ হাজার থেকে ৬ লাখ সরকারি চাকরিজীবী প্রয়োজন। যার অর্থ এ মুহূর্তে যেসব চাকরিজীবী আছে তার অর্ধেককেই ছাঁটাই করা হতে পারে।