চোটের যন্ত্রণায় হাল ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন নেইমার!
পুরো ক্যারিয়ারই তার ইনজুরিতে মোড়ানো। নেইমার জুনিয়র যতটা সময় মাঠে ছিলেন, ঠিক তার সমপরিমাণ সময় তিনি চোটের কারণে মাঠের বাইরে কাটিয়েছেন। গত অক্টোবর থেকে আরও একবার এসিএল (অ্যান্টেরিওর ক্রুশিয়েট লিগামেন্ট) ইনজুরির কারণে খেলতে পারছেন না এই ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। তবে প্রতিবারের মতো এবারও মাঠে ফেরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। যদিও মাঝে হাল ছেড়ে দেওয়ার মতো পরিস্থিতিও নাকি এসেছিল তার সামনে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে দেওয়া এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন সাবেক এই বার্সেলোনা ও পিএসজি ফরোয়ার্ড। চোট পুনর্বাসনে মাঝেমধ্যে কতটা কঠিন সময় পার করেছেন সেটি জানিয়ে নেইমার বলেন, ‘এই চোটে পড়ার পর এমনও অনেক দিন গেছে, যখন খুব কঠিন সময় কেটেছে। এমন কিছু দিন, যখন আমি হাল ছেড়ে দিতে চেয়েছি। এই সব কিছুর মধ্য দিয়ে যাওয়া কঠিন।’
তবে পরক্ষণেই আবার নিজের কঠিন এই লড়াই জয় করার বার্তাও দেন আল হিলাল তারকা, ‘কিন্তু এখানে (আমার মধ্যে) এমন একজন যোদ্ধা আছে, আমি যা চাই তা না পাওয়া পর্যন্ত যে থামবে না! সৃষ্টিকর্তাই আমার শক্তি ও আশ্রয়। আমরা প্রতিদিন লড়াই চালিয়ে যাব।’
এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরে দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে উরুগুয়ের বিপক্ষে হাঁটুতে আঘাত পান নেইমার। তিনি কাঁদতে কাঁদতে সেদিন স্ট্রেচারে মাঠ ছেড়েছিলেন। গত জুন-জুলাইয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত কোপা আমেরিকায়ও ব্রাজিলের হয়ে খেলতে পারেননি নেইমার। তবে সতীর্থদের খেলা দেখেন তিনি গ্যালারিতে বসে। তবে সেপ্টেম্বরে তিনি মাঠে ফিরবেন বলে আশার কথা শুনিয়েছেন আল-হিলাল কোচ জর্জ জেসুস।
প্রসঙ্গত, চোটে পড়ার আগে ওই বছরের আগস্টে পিএসজি থেকে আল-হিলালে যোগ দেন নেইমার। সৌদি প্রো লিগে তার যোগদান নিয়ে আলোচনা শুরু হলেও, সেখানে ঝলক দেখানোর আগেই লম্বা সময়ের জন্য মাঠের বাইরে ছিটকে যান। আল-হিলালের হয়ে মাত্র ৫ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। যেখানে তার গোল একটি এবং অ্যাসিস্ট ৫টি। এরপর ব্রাজিলের জার্সিতে খেলতে গিয়ে দেশটির ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যান নেইমার, ভেঙেছেন কিংবদন্তি পেলের রেকর্ড।