November 25, 2024
আন্তর্জাতিকলেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

চীনে পৌঁছেছেন পুতিন

কয়েকমাসের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিদেশ সফরে গেলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাষ্ট্রীয় সফরে মঙ্গলবার চীনে পৌঁছেছেন পুতিন। দেশটিতে অনুষ্ঠিত বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে অংশ নেবেন তিনি। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরামে ১৩০টিরও বেশি দেশ এবং ৩০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক সংস্থা অংশ নেবে। চীনের মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফোরামে অংশগ্রহণ করবেন আফ্রিকান এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় নেতারা।

এর আগে সোমবার সকালে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠকে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, ‘আমরা তৃতীয় আন্তর্জাতিক বেল্ট অ্যান্ড রোড ফোরাম সফল দেখতে আগ্রহী এবং আমরা নিশ্চিত যে এটি হবে।’

ল্যাভরভ বলেন যে, তিনি আন্তর্জাতিক এজেন্ডা এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পেরে খুব খুশি।

ফোরানের তৃতীয় সংস্করণ কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ২০১৯ সালের পর থেকে স্থগিত ছিল। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বর্তমানে ১৫০টিরও বেশি দেশ এবং ৩০টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।

পুতিন ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে আগের দুটি ফোরামে যোগ দিয়েছিলেন। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা তাস জানিয়েছে যে, বেইজিং জুলাই মাসে পুতিনকে এআমন্ত্রণ জানিয়েছিল এবং তিনি গত মাসে চীন সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুতিন সেই সময় বলেন, চীন এবং রাশিয়ার স্বার্থ পুরোপুরি মিলে যায়।

এই মাসের শুরুতে সোচিতে একটি আন্তর্জাতিক ফোরামে পুতিন বেইজিংয়ের সঙ্গে নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

ইউক্রেন থেকে শিশুদের নির্বাসিত করার অভিযোগে গত মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। তারপর দেশের বাইরে কয়েকটি বড় বড় সম্মেলনে অংশ নেননি পুতিন। গত মার্চের পর এটিই পুতিনের প্রথম সোভিয়েত ইউনিয়নের বাইরের কোনো দেশ ভ্রমণ।

আরও পড়ুন: কোন ইস্যুতে জোটবদ্ধ হচ্ছে ইরান, রাশিয়া ও চীন?

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ চীন সফরে গিয়েছিলেন পুতিন। ওই সফরে দুই দেশ নিজেদের মধ্যে ‘অন্তহীন’ অংশীদারিত্ব ঘোষণা করে। চীন সফর থেকে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যে ইউক্রেনে আক্রমণ করেন পুতিন। যা এখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপে সবচেয়ে বড় যুদ্ধে পরিণত হয়েছে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও আফ্রিকায় চীনের কৌশলগত অংশীদারদের নেতারা, যেমন- ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রপতি জোকো উইদোদো এবং মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিও ফোরামে যোগ দেবেন।

শেয়ার করুন: