চা বিরতির আগেই শেষ প্রথম দিনের খেলা
কানপুর টেস্টের প্রথম দিনেই একাধিকবার বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়েছিল, প্রথম তিন দিন অঝোরে নামবে বারিধারা। সকালের বৃষ্টিতে মাঠ ভেজা থাকায় নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা পর আরম্ভ হয় ম্যাচ। লাঞ্চ বিরতির পর ৯ ওভারের বেশি খেলাই গড়ায়নি। আবারো বৃষ্টি নামলে শেষ হয়ে যায় দিনের খেলা।
শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেল ৩টার দিকে দুই আম্পায়ার প্রথম দিনের খেলার সমাপ্তি টানেন। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ৩ উইকেটে ১০৭ রান। মুমিনুল হক ৪০ ও মুশফিকুর রহিম ৬ রানে অপরাজিত আছেন। চতুর্থ উইকেটে তারা ২৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন।
গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের ইতিহাসের এটি ২৪তম টেস্ট। পুরনো এই মাঠটিতে টসে জিতে কোনো অধিনায়ক মাত্র দ্বিতীয়বারের মতো টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। রোহিত শর্মার আগে ১৯৬৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কানপুরে টসে জিতে ফিল্ডিং বেছে নিয়েছিলেন ভারতের তৎকালীন অধিনায়ক মনসুর আলী খান পাতৌদি। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে স্বাগতিকরা ফলোঅনে পড়েও ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে সক্ষম হয়।
টাইগারদের একাদশে আনা হয় দুই পরিবর্তন। তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানা সিরিজের শেষ টেস্টে খেলছেন না। তাদের পরিবর্তে একাদশে রয়েছেন খালেদ আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম। ভারত কানপুর টেস্টের একাদশ অপরিবর্তিত রাখে।
ওপেনার জাকির হাসান টেস্ট মেজাজে ব্যাটিং করে সময় পেরোনোর কৌশলে খেলছিলেন । ২৪ বল খেলে উইকেটে থিতুও হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত রানের খাতা না খুলেই সাজঘরে ফেরেন। আকাশদীপের অফ স্টাম্পের বাইরের বল চালাতে গিয়ে স্লিপে থাকা যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে ধরা পড়েন। টিভি আম্পায়ার বেশ কয়েকবার রিপ্লে দেখে নিশ্চিত হন নিচে হয়ে আসা বলটি মাটিতে লাগেনি, সরাসরই ফিল্ডারের তালুতে জমা পড়ে। তাতে সফরকারীদের ২৬ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে।
ব্যাট হাতে বেশ সাবলীলভাবেই সাদমান ইসলাম ক্রিজে ছিলেন। দলীয় রানের অধিকাংশই তার ব্যাটেই এসেছে। এরপর ঘটল বিপদ। পেসার আকাশদীপের ডেলিভারিতে বল তার প্যাডে আঘাত হানলেও আম্পায়ার আবেদনে সাড়া না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় ভারত। সাদমানকে তাই ৩৬ বলে ৪টি চারে ২৪ রান করে ড্রেসিংরুমের পথ ধরতে হয়।
শুরুর চাপ সামলে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা ঠিকঠাকই করছিলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। সফরকারী দলের অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিনের নিরীহ ডেলভারিতে লেগ বিফোরে কাটা পড়ে খানুক আগে মাঠ ছাড়েন। অফ স্টাম্পের বাইরের বল সামনের পায়ে ভর করে রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে যান শান্ত। হালকা টার্ন হওয়া বল তার প্যাডে আঘাত হানার পর ভারতীয় খেলোয়াড়দের লেগ বিফোরের আবেদনে আম্পায়ার সাড়া দেন। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা পাননি ৫৭ বলে ৬ চারে ৩১ রান করা টাইগার কাপ্তান। তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে তিনি ৫১ রানের জুটি গড়েন। আলোক স্বল্পতার পর বৃষ্টিতে খেলা বন্ধের আগে মুমিনুল ও মুশফিক আর বিপদ ঘটতে দেননি।
ভারতের হয়ে আকাশদীপ দুইটি ও রবিচন্দ্রন অশ্বিন একটি উইকেট দখল করেন।