চারবার ব্যর্থ হয়েও অবশেষে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন শিগেরু ইশিবা
জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শিগেরু ইশিবা। বর্তমানে দেশটিতে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রধান নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমে তিনি জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। এর আগে তিনি চারবার দলটির প্রধান হওয়ার নির্বাচনে লড়ে ব্যর্থ হয়েছেন। এই নির্বাচনকে ‘শেষ চেষ্টা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন শিগেরু ইশিবা।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এলডিপির শীর্ষ নেতা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে শিগেরু ইশিবা অল্প ব্যবধানে জিতে যান।
নির্বাচনে ৬৭ বছর বয়সী প্রবীণ রাজনীতিবিদ কট্টর জাতীয়তাবাদী সানায়ে তাকাইচিকে হারিয়ে এলডিপির প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। তাকাইচি ও ইশিবার মধ্যে মূলত রান–অব তথা দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচন হয়েছে। প্রথম ধাপের নির্বাচনে দলটির মোট ৯ জন প্রার্থী লড়েছিলেন।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী বেশির ভাগ সময়ে জাপানে রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল এলডিপি। জাপানের পার্লামেন্টে এলডিপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণে শিগেরু ইশিবার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। কেবল আনুষ্ঠানিকতা বাকি। আগামী মঙ্গলবার ইশিবাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য জাপান পার্লামেন্ট এক বিশেষ অধিবেশন ডেকেছে।
নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর গণমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে ইশিবা বলেন, ‘আমাদের অবশ্যই জনগণকে বিশ্বাস করতে হবে, সাহস ও আন্তরিকতার সঙ্গে সত্য কথা বলতে হবে এবং জাপানকে একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত দেশে পরিণত করতে একযোগে কাজ করতে হবে, যেখানে আমরা সবাই হাসিমুখে বসবাস করতে পারি।’
এর আগে জাপানের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও এলডিপির বর্তমান প্রধান ফুমিও কিশিদা গত আগস্টে ঘোষণা দেন, তাঁর শাসনামলে অনেকগুলো কেলেঙ্কারি ঘটেছে, যে কারণে তিনি আর প্রধানমন্ত্রিত্ব ধরে রাখতে চান না। তাঁর সেই ঘোষণার পর নতুন দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়।
জাপানের জনসাধারণের মধ্যে শিগেরু ইশিবার বেশ জনপ্রিয়। এর আগেও তিনি এলডিপির নেতা হওয়ার জন্য চারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন। এবারের নির্বাচনকে তিনি তার শেষ চেষ্টা বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। তবে ইশিবার প্রধানমন্ত্রিত্ব পূর্ণাঙ্গ মেয়াদে হবে না। কারণ, ১৩ মাস পরেই দেশটিতে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।