November 27, 2024
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

চাকরি ফেরতের দাবি নিয়ে আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে পুলিশ সদস্যরা

সামান্য কারণে বিভাগীয় মামলা, বেআইনি আদেশ না শোনা, ডোপ টেস্টের নামে ফাঁদ, ছুটি না দেওয়ায় তর্ক করাসহ নানান কারণে গত ১৫ বছরে চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা আইজিপি ময়নুল ইসলামের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন।

রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় চাকরিচ্যুত শত শত পুলিশ সদস্যের মধ্যে চারজন প্রতিনিধি পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন বলে জানা গেছে।

এর আগে এদিন বিকেল থেকে এক দফা এক দাবি, নির্বাহী আদেশে চাকরি ফেরতে দেওয়ার স্লোগান তুলে পুলিশ সদরদপ্তরের প্রধান ফটকসহ দুটি গেট বন্ধ করে আইজিপিসহ সব কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে অবস্থান নেন তারা।

বিশেষ করে অভিযোগের পর আদালতে ও বিভাগীয় তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হওয়া সত্ত্বেও যারা চাকরি হারিয়েছেন তাদের অনতিবিলম্বে চাকরি বহালের দাবি আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের।

এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে পুলিশ সদরদপ্তরের ভেতর থেকে চারজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

পুলিশ সদরদপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে যিনি আইজিপি তিনি অতীতের কোনো আইজিপির মতো নন। তিনি আপনাদের দাবি-দাওয়ার ব্যাপারে ওয়াকিবহাল। আপনাদের দাবি-দাওয়া শুনেছেন তিনি।

তিনি বলেন, চাকরি হারানোন নানান কারণ ছিল। কার কী কারণে চাকরি গেছে তা বিশ্লেষণ করতে হবে। অহেতুক কারও চাকরি গেলে অবশ্যই তারা চাকরি ফেরত পাবেন। তবে এজন্য একটা প্রসিডিউর রয়েছে। এজন্য আইজিপি আপনাদের সঙ্গে বসে কথা বলতে চান।

তবে সবাই না গিয়ে আপনাদের মধ্য থেকে দুজন প্রতিনিধি আইজিপির সঙ্গে বৈঠক করে সেখানে আপনাদের দাবি-দাওয়া উপস্থাপন করবেন। পরে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে চারজন সদস্য পাঠানোর ব্যাপারে অনুরোধ করা হয়।

সেটি মেনে নিলে আন্দোলনরত পুলিশ সদস্যদের পক্ষ থেকে চারজন সমন্বয়কের দায়িত্ব নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করেন। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী আইজিপির সঙ্গে তাদের বৈঠক চলছে।

এদিকে, বিকেল থেকে পুলিশ সদরদপ্তরের সামনের সড়কের দুই লেন বন্ধ করে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। এতে পুলিশ সদরদপ্তরের সামনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে।

এ সময় চাকরিচ্যুত পুলিশ সদস্যরা ‘আমার পোশাক ফিরিয়ে দে, নইলে বিষ কিনে দে’; ‘কেউ পাবে, কেউ পাবে না, তা হবে না তা হবে না’; ‘নির্বাহী আদেশ দিতে হবে দিতে হবে’; ‘এক দফা এক দাবি, মানতে হবে মানতে হবে’; ‘হই হই রই রই, বেনজীর গেলো কই’; ‘হই হই রই রই, মামুন গেলো কই’; ‘হই হই রই রই, হারুন গেলো কই’, ‘হই হই রই রই, বিপ্লব-বাতেন গেলো কই’; ‘স্বাধীন বাংলায়, বৈষম্যের ঠাই নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

শেয়ার করুন: