গাজায় বোমা বিস্ফোরণে দুই ইসরায়েলি সেনা নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকায় বোমা বিস্ফোরণে ইসরায়েলের দুই সেনা নিহত হয়েছেন। শনিবার (১৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় তারা নিহত হন।
রোববার (১৮ আগস্ট) ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে তারা নিহত হয়েছেন। নিহতদের একজন মেজর এবং অপরজন সার্জেন্ট মেজর পদমর্যাদার।
ইসরায়েলি ওই দুই সেনার একজন হলেন মেজর (রিজার্ভিস্ট) ইজহাক পেলেদ এবং অপরজন সার্জেন্ট মেজর (রিজার্ভিস্ট) মোরদেচাই ইসুফ বেন সোয়াম। তাদের মধ্যে ইজহাক লজিস্টিক অফিসার এবং মোরদেচাই ট্রাকচালক ছিলেন। তারা দুজনেই জেরুজালেম ব্রিগেডের ৮১১নং ব্যাটালিয়নের সদস্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইজহাক সেনাবাহিনীর একটি বহরের নেতৃত্বে ছিলেন। তিনি বহরটিকে নিয়ে গাজার জেইতুনের দিকে অগ্রসর হচ্ছিলেন। তার বহরে যুদ্ধের সরঞ্জাম ছিল। মোরদেচাই ওই বহরের একজন ট্রাকচালক ছিলেন।
টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, গাড়িবহর নিয়ে যাওয়ার সময় গাজার মধ্যাঞ্চলের নেতজারিম করিডরের পাশে পুঁতে রাখা বোমা বিস্ফোরণে তারা নিহত এবং বাকিরা আহত হন।
আইডিএফ জানিয়েছে, ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাসের এক যোদ্ধা বোমাটি পুঁতে রাখেন। এ সময় তিনি ইসরায়েলি সেনাদের লক্ষ্য করে গুলিও ছোড়েন। সফলভাবে বোমা বিস্ফোরণ এবং গুলি ছোড়ার পর তিনি সেখান থেকে নিরাপদে সটকে পড়েন।
সবশেষ এ সেনার নিহতের ঘটনায় গাজায় নিহত ইসরায়েলি সেনার সংখ্যা ৩৩৪ জনে পৌঁছেছে। এর আগে ৭ অক্টোবরের হামলায় আরও তিন শতাধিক সেনা নিহত হন।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। দেশটির এ হামলার জবাবে পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এরপর থেকে এ যুদ্ধ শুরু হয়। ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর রূপ নেয় যুদ্ধ।এরপর থেকে গাজার ওপর বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এমনকি তাদের হামলা থেকে রেহাই পায়নি হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদসহ ধর্মীয় স্থাপনাও।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে গাজার ২০ লাখ বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন। দেশটির হামলার কারণে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা।