গল্লামারী ব্রিজ: দখল ও দুষণে দুর্বিষহ অবস্থা, কে করবে এর প্রতিকার?
ভাবলে অবাক হতে হয় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা শুরু হচ্ছে অনতিদূরে। আরও অবাক কান্ড! একটি পুলিশ বক্স আছে অতি সন্নিকটে। তারপরও। সরকারের দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানসমুহের মধ্যে যেন কোনো হেলদোল নেই। কোথাও কেউ নেই গল্লামারী ব্রিজ সংলগ্ন অভাবনীয়, পুতিদুর্গন্ধময় পরিবেশ দেখার। কারও কিছু নেই করার। না সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের, না তার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের। দিনের পর দিন, সবাই ব্রিজসংলগ্ন জায়াগাটিকে মাড়িয়ে যাচ্ছেন আসছেন, বাজার করছেন, দুর-গন্তব্যে পাড়ি জমাচ্ছেন। পথচারি যারা, তারা নাক সিঁটকে একটুখানি সবাই নির্বিকার। মেনে নিচ্ছেন, নিতে হচ্ছে, কতকিছুই তো সহ্য করছেন এ আর এমন কি! জীবন বয়ে যাচ্ছে। খাচ্ছেনদাচ্ছেন, বাজার করছেন, প্রাত:কৃত্য সারছেন, রুটিন নাট সিঁটকাচ্ছেন, তারপর সবাই চুপচাপ!….. এ কেবল আমাদের মত দেশেই সম্ভব।
গল্লামারী ব্রিজের দু’পাশের ওয়াকওয়েটুকু দখলে নিয়েছেন সবজি বিক্রেতাগণ। ব্রিজের ঠিক অব্যবহিত পশ্চিম পার্শ্বে যে উন্মুক্ত জায়গাটুকু, সেখানে সিটি কর্পোরেশনের লৌহনির্মিত অতিকায় ডাস্টবিন। আশেপাশ ইতস্তত বিক্ষিপ্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ময়লা। মুরগীর উচ্ছিষ্ট, কাঁচা সবজির বর্জ পাতা, সবকিছু পচে, গলে কী যে উৎকট দুর্গন্ধ, সেটি ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন! বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বহু দিনের দাবি, জায়গাটিকে দখল ও দূষণমুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হোক। পরিস্কার রাখা হোক। কিন্তু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না।
মাঝে মধ্যে, হঠাৎ হঠাৎ, সিটি কর্পোরেশন বা রোডস এন্ড হাইওয়ের উদ্যোগে কিছু কিছু উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। যখন এসব উচ্ছেদ অভিযান চলে, হকারগণ ছেড়ে দেন, পালিয়ে যান। পেছনের মদদ দাতাদেরও খুঁজে পাওয়া যায় না। কিছুকাল পরিস্কার থাকে; তারপর, আবার যা তাই। আগের অবস্থানে ফিরে যায় পরিবেশ। এ যেন পরিস্থিতির এক অমোচনীয় জাঁতাকল, যা থেকে মানুষের যেন কোনোভাবেই মুক্তি নেই। কে করবে এর প্রতিকার? কার কাছে এর সমাধান?