গণমাধ্যম নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে : প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের গণমাধ্যম এখন নজিরবিহীন স্বাধীনতা ভোগ করছে মন্তব্য করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, কিন্তু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভুল তথ্যের বন্যা বয়ে গেছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের নেতারা সাক্ষাৎ করতে গেলে এ কথা বলেন তিনি।
অর্থনীতি পুনর্গঠন, সম্পদপাচার, ভুল তথ্য মোকাবিলা এবং গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক সংস্কার বাস্তবায়নে বাংলাদেশের প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অ্যালেক্স সোরোস এবং সভাপতি বিনাইফার নওরোজির নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
সাক্ষাৎকালে ইতিহাসের এক জটিল সময়ে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো ঠিক করা ও অর্থনীতি পুনর্গঠনে প্রয়োজনীয় সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়ায় ড. ইউনূসের প্রশংসা করেন অ্যালেক্স সোরোস। তিনি বলেন, আমরা এসব ক্ষেত্রে আপনার প্রচেষ্টা সমর্থন করার উপায় খুঁজবো।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থান দেশের জন্য একটি নতুন গতিপথ নির্ধারণের ‘বিরাট সুযোগ’ এনে দিয়েছে। তারা জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান, ভিকটিমদের জন্য অন্তর্বর্তী ন্যায়বিচার, অর্থনৈতিক সংস্কার, গণমাধ্যম, চুরি যাওয়া সম্পদ পুনরুদ্ধার, নতুন সাইবার নিরাপত্তা আইন, কীভাবে তাদের উন্নতি করা যায় এবং রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেন।
ওপেন ফাউন্ডেশনকে তাদের সহায়তার জন্য ধন্যবাদ জানান ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের খবর ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ড. ইউনূস বলেন, দাভোস সফরে গিয়ে আমি যা প্রত্যক্ষ করেছি তা হলো, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে অনেকেই জানে না। অনেক অপপ্রচার হচ্ছে।
শেখ হাসিনার ১৬ বছরের শাসনামলে পাচার হওয়া প্রায় ২৩৪ বিলিয়ন ডলার ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করার জন্য ফাউন্ডেশনের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার উত্তরাধিকার সূত্রে একটি ‘বিধ্বস্ত ও যুদ্ধবিধ্বস্ত’ অর্থনীতি পেয়েছে এবং তিনি পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় ফাউন্ডেশনের সমর্থন কামনা করেন।
ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনে সহায়তা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে, এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।