November 24, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্টশিক্ষাশীর্ষ সংবাদ

খুলনা জেলা ছাত্রলীগের কমিটিতে গুরুত্ব পাবে নিবেদিতরা, আলোচনায় সাইফ-সম্রাট

* নেতৃত্বপ্রত্যাশী ১৩৪ জনের জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমাদান
* যাচাই হবে পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও নেতৃত্বের যোগ্যতা

এফ এম হাফিজুল ইসলাম
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের খুলনা জেলা শাখার নেতৃত্বে আসতে ১৩৪ জন ছাত্রনেতা জীবনবৃত্তান্ত (সিভি) জমা দিয়েছেন। যার মধ্যে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও অন্যান্য পদপ্রত্যাশীরা রয়েছেন। তবে সাত বছর পর হতে যাওয়া এ কমিটিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদে কারা আসছেন, সেদিকে এখন কৌতুহলী চোখ অনেকের। এ অবস্থায় সবচেয়ে আলোচনায় আছেন কারা- তা নিয়েও চলছে জল্পনা-কল্পনা।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি একাধিক সূত্র জানিয়েছে, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের এবারের নেতৃত্ব বাছাইয়ে যোগ্যতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে সাংগঠনিক দক্ষতা, কাজের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও নেতৃত্বের যোগ্যতা, মেধাবী ও ছাত্র হওয়া এবং পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড। এর সঙ্গে অতীতে দলের জন্য ভূমিকা, নেতৃত্বের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা, বয়সের সীমারেখা এবং বিরোধী মতাদর্শের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা আছে কি না, সেসব বিষয়েও নজর রয়েছে। তবে উল্লিখিত অন্যান্য যোগ্যতা সম্পন্ন হলে বয়সের সীমারেখা শিথিল করা হতে পারে। এছাড়া করোনাকালে যেসব নেতা সাধারণ শিক্ষার্থীদের সেবায় নিয়োজিত ছিল এবং বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ভুক্তভোগীদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে সেবা পৌঁছে দিয়েছেন তাদেরও বিবেচনায় রাখা হবে।
সূত্র আরও জানায়, জীবনবৃত্তান্ত যাচাই-বাছাই শেষে কর্মীসভা কিংবা সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করা হবে। এক্ষেত্রে ঈদের আগে নতুন কমিটি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তবে ঈদের পরে দ্রুততার সাথে কমিটি করা হবে বলে সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-দপ্তর সম্পাদক মনির হোসেন দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিনকে বলেন, নেতৃত্বপ্রত্যাশী মোট ১৩৪ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন। তবে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে কতজন জমা দিয়েছেন এখনও তা আলাদাভাবে হিসেবে করা হয়নি। কমিটি গঠনের ব্যাপারে শীঘ্রই কেন্দ্রীয় কমিটি পরবর্তী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
খুলনা জেলা ছাত্রলীগের একাধিক সূত্র জানায়, ১৩৪ জন জীবনবৃত্তান্ত জমা দিলেও উল্লেখযোগ্য কিছু ছাত্রনেতাকে নিয়ে আলোচনা সর্বত্র। তাদের বর্তমান কর্মকাণ্ড, সাংগঠনিক দক্ষতা, ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অবদানসহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের যোগ্যতা তুলে ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরব অনেকে। নতুন কমিটিতে পদ পেতে দৌঁড়ঝাপ শুরু করেছেন দীর্ঘদিন সক্রিয় থাকা একঝাঁক নেতাকর্মীরা।
যার মধ্য থেকে সভাপতি পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন কয়রা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম সাইফ। এর বাইরেও আলোচনায় রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মারুফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরাফাত খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুজ্জামান তানভীর, আতিক শাহরিয়ার, ছাত্রলীগ নেতা মো. ইসমাঈল মৃধা ইমন।
সাধারণ সম্পাদক পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক চিশতী নাজমুল বাশার সম্রাট। এছাড়াও আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক শেখ মো. রাসেল, সহ-সম্পাদক পলাশ রায়ের নামও শোনা যাচ্ছে।
তবে অন্যান্য সাংগঠনিক দক্ষতা ও মানবিক কর্মকাণ্ড বিবেচনায় বয়সের সীমারেখা শিথিল হলে সাইফুল ইসলাম সাইফ হতে যাচ্ছেন জেলা ছাত্রলীগের পরবর্তী সভাপতি। আর স্বচ্ছ ও পরিচ্ছন্ন ছাত্রনেতা, সাংগঠনিক দক্ষতা এবং পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড বিবেচনায় চিশতী নাজমুল বাশার সম্রাট হতে পারেন জেলা ছাত্রলীগের নয়া সাধারণ সম্পাদক। তবে এর বাইরে থেকে অন্য কেউ নেতৃত্বে এলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়। সম্মেলনে মো. পারভেজ হাওলাদারকে সভাপতি ও মো. ইমরান হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করা হয়। পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করা হয়।

দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়

শেয়ার করুন: