খুলনায় রাস্তা অবৈধভাবে দখলে রাখার প্রতিবাদে এলাকাবাসীর ঝাড়ু মিছিল
দ. প্রতিবেদক
খুলনার ডুমুরিয়ায় সরকারী মৌজা ম্যাপের রাস্তা অবৈধভাবে দখল রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন, বিক্ষোভ সমাবেশ ও ঝাড়ু মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। বুধবার বিকেলে খুলনার নতুন জেলা কারাগার সংলগ্ন আসানখালী প্রধান সড়কে এসব কর্মসূচির আয়োজন করে আসানখালী উন্নয়ন কমিটি। অংশগ্রহণ করেন রাস্তা দখলে রাখায় ভোগান্তির শিকার ২৯২টি পরিবারের সদস্যরা।
আসানখালী উন্নয়ন কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তৃতা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সত্তার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খাঁ, ইয়াসিন খন্দকার, মঞ্জুরুল ইসলাম, অবসরপ্রাপ্ত সার্জেন্ট ইমন, আব্দুর রব, কামাল শেখ, এমদাদ ডাক্তার, আনিসুর রহমান, রূপা বেগম, বিশ্বজিৎ, রাবেয়া খাতুন, সৌদা খাতুনসহ আসানখালী উন্নয়ন কমিটির সদস্যরা।
এ সময় বক্তারা বলেন, সরকারী মৌজা ম্যাপের রাস্তা অবৈধভাবে দখল রাখায় চক-আসানখালী মৌজার ২৯২টি পরিবার চরম ভোগান্তিতে রয়েছি। আমাদের চলাচলের রাস্তা সরকারী মৌজা ম্যাপে রাস্তা হিসাবে আর,এস ১৩২৮ দাগে রেকর্ড ও আলাদা দাগ কেটে রাখা আছে। যা আমরা রাস্তা হিসাবে ব্যবহার করতে চাইলে ইলিয়াস লস্কর ও তার স্ত্রী পারভেজ আক্তার, মেহেরুন্নেছা ও মিজানুর রহমান বাধা প্রদান করেন ও নানা রকম হুমকী ধামকী প্রদান করেন। এ মৌজা ম্যাপ অনুযায়ী রাস্তা হলে আপত্তিকারীদের জমির পরিমান দলিল অনুযায়ী ঠিক থাকে। যেহেতু রাস্তা করা হলে জমির দলিল অনুযায়ী পরিমান ঠিক থাকে, তাই রাস্তা বাদে গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে সীমানা নির্ধারণ পূর্বক নির্ধারণ পিলার করে রাখা হয়েছে। যার মধ্যে দলিলে পাওনা জমিটুকু বর্তমানে আছে । তবুও মিজান সাহেব বাধা প্রদান করেন ও নানা রকম হুমকি প্রদান করেন। সরেজমিনে সরকারী সার্ভেয়ার কর্তৃক মৌজা ম্যাপ মেপে স্কেস করে দিয়েছে। গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সামনে মেপে সহি স্বাক্ষর করা হয়। কিন্তু তাদেরকে (জমির মালিকগণকে) জমি মাপার সময় বার বার ডাকা সত্ত্বেও তারা হাজির হয়নি। পরবর্তীতিতে বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে দেখা করলে তারা রাস্তার জায়গা ছেড়ে দেবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন।
তারা আরও বলেন, ক্ষমতার দাপটে প্রভাবশালীরা রাস্তাটি দখল করে রাখায় আমরা ২৯২ টি পরিবারের এক হাজারেরও বেশী জনগণ সম্পূর্ণ রাস্তা ঠিক হওয়া সত্ত্বেও সংযোগটুকু না থাকায় মেইন রোডে উঠতে পারছিনা। এই ২৯২টি পরিবারের মধ্যে ৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ রয়েছেন। তারা অনেক কষ্টে তাদের সঞ্চিত অর্থ দিয়ে অনেক দিন আগে জায়গা কিনেও রাস্তার অভাবে বাড়ি করতে পারছে না।
বক্তারা সমাবেশে কঠোর হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যতক্ষণ দাবি পূরণ না হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে। এলাকাবাসী দখলদারী ব্যক্তিদের অযৌক্তিক ও বে-আইনী ক্ষমতা প্রয়োগ হতে বাঁচতে ও বন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত হয়ে মেইন রোডে উঠতে প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়