খুলনায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যা: মামলা রেকর্ডের নির্দেশ আদালতের
দ. প্রতিবেদক
খুলনা মহানগরীর আল ফারুক মাদ্রাসা রোড এলাকায় স্ত্রীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের মা শিউলী বেগম বাদী হয়ে জামাই মোঃ কামরুল ইসলাম স্বাধীনের বিরুদ্ধে রবিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তরিকুল ইসলাম শুনাণী শেষে মামলাটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করতে সোনাডাঙ্গা মডেল থানা পুলিশকে আদেশ দিয়েছেন। ওই গৃহবধূ খুকুমনি ওরফে মুনি (১৯) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকাস্থ শেখ হাসিনা জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, সোনাডাঙ্গা থানাধীন আল ফারুক মাদ্রাসা রোডের মোঃ হাবিবুল্লাহ’র বাড়ি ভাড়াটিয়া শিউলী বেগম ভাড়া থাকেন। ৫/৬ মাস পূর্বে মোঃ কামরুল ইসলাম ওরফে স্বাধীনের সাথে খুকুমনির বিয়ে হয়। মেয়ে ও জামাতা তার কাছেই থাকতো। তিনি বাগেরহাটের শরণখোলায় অসুস্থ মাকে দেখতে যান। তার স্বামী কাজের তাগিদে যশোরের কেশবপুরে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি রাত ৩টার দিকে মোঃ কামরুল ইসলাম ওরফে স্বাধীন তার স্ত্রী খুকুমনিকে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। টের পেয়ে বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রী ওই ঘরের দরজা আঘাত করলে স্বাধীন খুলে দেয়। আগুনের বিষয়ে সে তাৎক্ষণিক বাড়ির মালিক ও তার স্ত্রীকে জানায় চা বানাতে গিয়ে খুকুমনির গায়ে আগুন লেগেছে। দ্রুত অগ্নিদগ্ধ খুকুমনিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে তার মা ও বাবা খুলনায় এসে পরদিন চিকিৎসকদের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় ইনস্টিটিউট অব বার্ন এন্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে ভর্তি করেন। অবশেষে শরীরের ৭০ ভাগ পোড়া নিয়ে ২১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গৃহবধূ খুকুমনি। মৃত্যুর পুর্বে এক ভিডিও বার্তায় তার মৃত্যুর জন্য স্বামী মোঃ কামরুল ইসলাম ওরফে স্বাধীনকে দায়ী করেন। ঢাকায় ময়নাতদন্ত শেষে গ্রামের বাড়ি শরণখোলায় দাফন করা হয়েছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এড. মাসুদুর রহমান জানান, রবিবার দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩৪ ধারার লিখিত অভিযোগ নালিশী আদালতে দাখিল করা হয়। শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত বাদির এ আবেদনটি সোনাডাঙ্গা মডেল থানায় রেকর্ডের আদেশ দিয়েছেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়