খুলনায় বিএনপির অঙ্গসংগঠনের সমন্বয়ে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ শুরু
তরুণ ভোটারদের অধিকার প্রতিষ্ঠাসহ নানা দাবিতে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে খুলনায় শুরু হয়েছে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’। আজ সোমবার খুলনা নগরের সোনালী ব্যাংক চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সম্মানে সমাবেশ মঞ্চে দুটি চেয়ার খালি রাখা হয়।
আজ বিকেল পৌনে চারটার দিকে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলামের (শ্রাবণ) সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু) ও বিশেষ বক্তা হিসেবে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী উপস্থিত আছেন। সঞ্চালনায় ছিলেন যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম (মিল্টন), স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ (জুয়েল)।
সমাবেশস্থলে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সমর্থক উপস্থিত হন। এ ছাড়া খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হন। সমাবেশে যোগদানকারীদের অনেকে বিভিন্ন রঙের গেঞ্জি, ক্যাপ পরে আসেন। নেতা-কর্মীদের কেউ কেউ লাঠিতে পতাকা বেঁধে, কেউ খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিসংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে যোগ দেন সমাবেশে।
এর আগে ‘ঝামেলা এড়াতে’ সমাবেশের আগের রাতেই সমাবেশস্থলে হাজির হয়েছিলেন অনেকে। গতকাল রোববার রাতে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা সমাবেশস্থলের রাস্তা ও ফুটপাতে প্লাস্টিকের বস্তা-পাটি পেতে ঘুমিয়েছেন। দুপুর থেকে নেতা-কর্মীদের চাঙা করতে জাসাস দেশাত্মবোধক গান, নাটিকা পরিবেশন করে।
এদিকে খুলনার ‘তারুণ্যের সমাবেশের’ আগে পূর্বঘোষণা ছাড়াই খুলনা-সাতক্ষীরা ও খুলনা-পাইকগাছা রুটের সব ধরনের বাসের চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। আজ সকাল থেকে এই দুই রুটে বাস চলছে না। এ কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগ দাবিতে চলমান আন্দোলনে তরুণ প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে দেশের ছয়টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তারুণ্যের সমাবেশ করছে ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলে। চট্টগ্রাম বিভাগে সমাবেশ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারুণ্যের সমাবেশ শুরু হয়। খুলনায় পঞ্চম সমাবেশ করছে তারা। ঢাকায় সমাবেশের মধ্য দিয়ে ওই কর্মসূচি শেষ হবে।