কুয়েটে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত
দ. প্রতিবেদক
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম. মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের অত্যন্ত সচেতন, সক্রিয় ও অতন্দ্র প্রহরী হিসেবে কাজ করতে হবে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। সেই দেশ আবারও পরাজিত শক্তির হাতে চলে যাবে এটা আমরা চাই না। ভবিষ্যৎ প্রজন্মদেরকে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানাতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে তুলতে হবে। এক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকদের দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।
রবিবার বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব শতবর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) কর্তৃক আয়োজিত জাতির সূর্য সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির (ভাচুর্য়াল) বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা তালুকদার আব্দুল খালেক। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. কাজী সাজ্জাদ হোসেন এবং শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির সভাপতি প্রফেসর ড. বাসুদেব চন্দ্র ঘোষ। অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা অনুষ্ঠান উদ্যাপন কমিটির সদস্য-সচিব ড. মোঃ আব্দুল হাসিবসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দকে শুভেচ্ছা স্মারক প্রদান করা হয়।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্য থেকে বক্তৃতা রাখেন কুয়েটের প্রাক্তন ছাত্র বীরপ্রতীক গোলাম আজাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম কামাল উদ্দিন আহমেদ, খানজাহান আলী থানা কমান্ডের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা স. ম. রেজওয়ান আলী, খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডার যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা খান মোহাম্মদ আলী, খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ¦ সরদার মোঃ মাহবুবার রহমান, খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক মোঃ আলমগীর কবির। অনুষ্ঠানে কুয়েট পরিবারের মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা মহানগরে বসবাসরত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা জেলা ইউনিট কমান্ড, খুলনা মহানগর ইউনিট কমান্ড, খুলনা মহানগরের বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা, খুলনা সদর থানা কমান্ড, রুপসা উপজেলা কমান্ড, ডুমুরিয়া উপজেলা কমান্ড, খালিশপুর থানা কমান্ড, সোনাডাঙ্গা থানা কমান্ড, দিঘলিয়া থানা কমান্ড, দৌলতপুর থানা কমান্ডের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়