কিয়েভে শান্তি আলোচনার মধ্যেই আবাসিক ভবনে তুমুল গোলাবর্ষণ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের আবাসিক ভবনগুলোতে তুমুল প্রাণঘাতী গোলাবর্ষণ চলছে। রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ভবন ভেঙে পড়ে একজন নিহত এবং ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। এ পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু আশা নিয়ে রাশিয়ার সঙ্গে চলছে ইউক্রেনের শান্তি আলোচনা।
গতকাল সোমবার ইউক্রেন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি, অবিলম্বে সেনা প্রত্যাহার এবং নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে তারা রাশিয়ার সঙ্গে চতুর্থ দফায় ‘কঠিন’ আলোচনা শুরু করেছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের রাজনৈতিক ব্যবস্থা ভিন্ন হওয়ায় আলোচনা চালানো কঠিন হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের পক্ষের আলোচক মিখাইলো পোডোলিয়াক।
কয়েক সপ্তাহের লড়াই অবসানের লক্ষ্য নিয়ে দুই পক্ষের প্রতিনিধিরা এই আলোচনা শুরু করেছে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক মুখপাত্র অগ্রগতির আভাস দিয়ে বলেছেন, ইউক্রেন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির জন্য চাপ দিচ্ছে। এর আগে দুই পক্ষে দফায় দফায় আরও আলোচনা হয়েছিল। তাতে কেবল ইউক্রেনের বিভিন্ন শহর-নগরে মানবিক ত্রাণ কাজ চালানো এবং বেসামরিক নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সাময়িক যুদ্ধবিরতি করা নিয়ে সমঝোতা হয়েছিল। যদিও সেইসব যুদ্ধবিরতি বারবারই লঙ্ঘিত হয়েছে। দু’পক্ষের মধ্যে এরপরও শান্তি আলোচনা চলমান থাকলেও রাশিয়া ইউক্রেনের বহু নগরীতে বোমাবর্ষণ করেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইউক্রেনের রাষ্ট্রীয় জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানী কিয়েভের কুরেনিভকা এলাকায় রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত আবাসিক ভবনের ধ্বংসাবশেষ রাস্তায় পড়ে একটি বাস ধ্বংস হয় এবং আরেকটি আবাসিক ভবনে আগুন ধরে যায়। বাসে কোনও যাত্রী ছিল না। তবে বাসটি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে।
স্থানীয় এলাকার এক বাসিন্দা পরিস্থিতির বর্ণনায় বার্তা সংস্থা রয়র্টার্সকে বলেছেন, হামলার সময় তিনি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে বেরিয়ে আসেন এবং দেখতে পান সিঁড়িঘরটি আর নেই। সবখানে আগুন জ্বলছে।
রাশিয়া বরাবরই আবাসিক ভবনগুলোকে হামলার নিশানা বানানোর কথা অস্বীকার করে আসছে। তারা ইউক্রেনে তাদের আগ্রাসনকে ‘বিশেষ অভিযান’ আখ্যা দিয়ে বলেছে, এর লক্ষ্য ইউক্রেনকে সামরিকভাবে নিরস্ত্র করা। তবে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটি ইউক্রেনে যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার একটি অজুহাত মাত্র।
রাশিয়া ইউক্রেইনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে হামলা শুরু করলেও এখনও রাজধানী কিয়েভে ঢুকতে পারেনি। তারপরও এতদিনের যুদ্ধে রাশিয়ার ঘিরে ফেলা অন্যান্য ইউক্রেনীয় শহরগুলোতে এ পর্যন্ত মারা গেছে হাজার হাজার মানুষ।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়