কার্বন নি:সরণ কমাতে নতুন জোট `জি জিরো` গঠন
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ যখন গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমাতে যুদ্ধ করছে তখন চারটি ছোট কার্বন-নেতিবাচক দেশ এক হয়ে গঠন করলো ‘জি জিরো’ ফোরাম। আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ২৯-এ গঠিত এই ফোরামে আছে ভুটান, মাদাগাস্কার, পানামা এবং সুরিনাম। দেশগুলো জলবায়ু সুরক্ষার যুদ্ধকে এগিয়ে নিতে একসাথে কাজ করতে যৌথ ঘোষণাও দিয়েছে।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে, সুরিনামের প্রেসিডেন্ট চান সানতোখি, মাদাগাস্কারের প্রধানমন্ত্রী ও পানামার বিশেষ দূত এই যৌথ ঘোষণায় সই করেন। ঐতিহাসিক এই ঘোষণা সাক্ষরকালে সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের প্রেসিডেন্ট আশিস গুপ্ত, এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট কেরামত উল্লাহ বিপ্লব, কোষাধ্যক্ষ মাসুম বিল্লাহসহ সাংবাদিক সংগঠনটির ৬ সদস্য।
যৌথ ঘোষণা শেষে ভূটানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন তারা। দক্ষিণ এশিয়ার এই সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে তিনি জানান, নতুন ফোরামের লক্ষ্য এটা প্রমাণ করা যে কার্বন নিরপেক্ষতা শুধুমাত্র সম্ভব নয়, অপরিহার্য। জলবায়ুর ভয়ংকর অভিঘাত ঠেকাতে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পেতে একযোগে কাজ করবে এই দেশগুলো। উন্নয়নশীল এবং উন্নত দেশগুলোকেও ‘জি জিরো’ ফোরামে যুক্ত করার কথা জানান তিনি। ভুটান যেহেতু এই ফোরামের নেতৃত্বে আছে তাই দক্ষিণ এশীয় জলবায়ু সাংবাদিকদের সংগঠনকেও ফোরামে যুক্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর এ প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট কেরামত উল্লাহ বিপ্লব বলেন, সবাই সত্যিকার অর্থে জলবায়ু যুদ্ধে ইতিবাচক ভুমিকা রাখলে এ অঞ্চলের জলবায়ু উদ্বাস্তু কয়েক কোটি মানুষের জীবন ও সম্পদ রক্ষা করা সহজ হবে। কার্বন নি:সরণ কমাতে শুধু কাগুজে চুক্তি কিংবা ঘোষণা নয় শিল্পোন্নত দেশ ও বিশ্ব বানিজ্য প্রতিষ্ঠানগুলোকেও দায়বদ্ধ করতে ফোরামকে উদ্যোগ নেয়ার দাবি জানানো হয়।
দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য সাংবাদিক নেতৃবৃন্দকে ভুটান সফরের আমন্ত্রণও জানান দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে। ফোরামের যৌথ ঘোষণায় সই শেষে সুরিনামের প্রেসিডেন্ট চান সানতোখির সাথেও সৌজন্য সাক্ষাত করেন সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিষ্ট ফোরামের নেতৃবৃন্দ।