November 22, 2024
আন্তর্জাতিক

কমলা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হলে ইসরায়েলের অস্তিত্বই থাকবে না: ট্রাম্প

আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কমলা হ্যারিস জয় পেলে ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্বই থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) লাস ভেগাসে রিপাবলিকান ইহুদিদের সমাবেশে দেওয়া এক বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন।

ইহুদিদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি আপনাদের সঙ্গে কাজ করে নিশ্চিত করবো ইসরায়েল যেন আরো হাজার বছর টিকে থাকে। কিন্তু যদি কমলা হ্যারিস জয় পায় তবে আপনার ইসরায়েলকে আর পাবেন না।

রিপাবলিকান এই প্রার্থী আরো বলেন, ‘আমি বুঝি না তাকে কীভাকে কেউ সমর্থন করে। যদি সত্যিই তিনি কোনো ইহুদিকে সাহায্য করার কথা বলেন, তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখা জরুরি। তারা ইহুদিদের সঙ্গে খুবই খারাপ আচরণ করেছে।

এর আগে এক ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, যদি হ্যারিস জেতেন, তাহলে লাখ লাখ চাকরি রাতারাতি শেষ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, ‘হ্যারিস জিতলে আপনাদের যা জমানো অর্থ আছে, সব চলে যাবে। আমি যখন কম্যান্ডার ইন চিফ হই, তখন বিশ্বজুড়ে আমাদের শত্রুরা বুঝে গিয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রকে হালকাভাবে নেয়া যাবে না। কিন্তু নভেম্বরে কমরেড হ্যারিস যদি জেতেন, তাহলে নিশ্চিতভাবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ হবে।’

দ্য রিপাবলিকান জিউয়িশ কোয়ালিশনের অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে গাজাসহ ‘সন্ত্রাসকবলিত এলাকা’ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়া শরণার্থীদের নিষিদ্ধ করবেন। যেসব ‘হামাসপন্থী গুন্ডা’ যারা সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর করেছে তাদের গ্রেফতার করবেন এবং ‘ইহুদি বিরোধী প্রচারণা’ ছড়ানো বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থায়ন ও স্বীকৃতি বাতিল করবেন।

এ সময় ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ভোট দেওয়া ইহুদি ভোটারদের লক্ষ্য ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রেসিডেন্ট থাকলে হামাস ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলা চালাতে পারত না। তিনি আরো দাবি করেন, তিনি অন্য যেকোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চেয়ে ইসরায়েলের জন্য বেশি কাজ করেছেন।

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ইহুদি জনগণের ৫০ শতাংশ এই সব লোককে (ডেমোক্র্যাটদের) ভোট দিচ্ছে, যারা ইসরায়েলকে ঘৃণা করে এবং ইহুদিদের পছন্দ করে না। তারা কেন ভোট দিচ্ছে?’

এদিকে, ট্রাম্পের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কমলা হ্যারিসের নির্বাচনী প্রচারণার মুখপাত্র মরগান ফিঙ্কেলস্টেইন বলেছেন, ‘ভাইস প্রেসিডেন্ট (কমলা হ্যারিস) ইহুদিবিদ্বেষের বিরুদ্ধে অটলভাবে তার অবস্থান নিয়েছেন এবং তিনি ইহুদি জনগণের জন্য নিরাপদ, গণতান্ত্রিক আবাসভূমি হিসেবে ইসরায়েল রাষ্ট্রের আজীবন সমর্থক।’

ফিঙ্কেলস্টেইন আরো বলেন, ট্রাম্পের ইহুদি জনগণকে অবজ্ঞা করার ও শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী এবং হলোকাস্ট অস্বীকারকারী নিক ফুয়েন্তেসের সঙ্গে ব্যক্তিগত নৈশভোজসহ অতি কট্টরপন্থী ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশার ইতিহাস রয়েছে।

কমলা হ্যারিস মূলত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থনের প্রতিধ্বনি করেছেন। ডেমোক্রেটিক পার্টি মনোনীত প্রার্থী অবশ্য ফিলিস্তিনিদের দুর্দশার ওপর বেশি জোর দিয়েছেন। বলেছেন যে তিনি গাজার দুর্দশা সম্পর্কে ‘চুপ থাকবেন না’ এবং যুদ্ধে অনেক নিরীহ বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

শেয়ার করুন: