কনকনে শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়, তাপমাত্রা নামল ১১.৮ ডিগ্রিতে
শীতের মাস শুরুর আগেই হাড়কাঁপানো শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে হিমালয় কন্যা খ্যাত দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের জনজীবন।
সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা কমতে শুরু করায় এবং ঘন কুয়াশায় জনপদ হয়ে পড়ছে জনশূন্য। গভীর রাতে বাতাসের সঙ্গে বৃষ্টির ফোঁটার মতো ঝরা কুয়াশা শীত আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
দিনের মাঝামাঝি সূর্যের দেখা মিললেও রোদে নেই উষ্ণতা। কনকনে শীতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া মানুষ। শীতজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বয়স্করা।
winterহিমালয়ের পাদদেশে হওয়ায় প্রতি বছর উত্তরের এই জেলায় শীতের তীব্রতা ভয়াবহ হয়। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি। কয়েকদিন ধরেই পঞ্চগড়ে শীত তীব্র হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ নামতে নামতে আজ ১১.৮ ডিগ্রিতে ঠেকেছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে।
পঞ্চগড় ছাড়াও উত্তরাঞ্চলের অন্যান্য জেলাতেও গত কয়েক দিন থেকে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। রাতে ও সকালে প্রচুর কুয়াশা পড়ছে।
দিনের মাঝামাঝি রোদের দেখা মিললেও তা শীতের তীব্রতা কমাতে পারিনি। শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন রোগীদের ভিড় বাড়ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। তাদের বেশিরভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
সরকারিভাবে অসহায় মানুষের মাছে শীত নিবারণে যেসব কাপড় বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় তা অনেক কম।
পঞ্চগড়ের তেতুঁলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ ঢাকা মেইলকে বলেন, হিমালয়ের কাছে হওয়ায় উত্তর পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ায় তেঁতুলিয়ায় বেশ ঠাণ্ডা অনুভুত হয়। আজ সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।