September 19, 2024
খেলাধুলা

কনওয়ে-রবীন্দ্রের বিশ্বরেকর্ড জুটিতে নাস্তানাবুদ ইংল্যান্ড

মার্ক উডের শর্ট ডেলিভারিতে শর্ট ফাইন লেগ দিয়ে ঠেলে দিয়ে শূন্যে ঝাপালেন কনওয়ে। ৮৬ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছালেন এই কিউই ব্যাটার। ব্যাটটা হাতে রেখেই সামনে ছুড়ে মারার ভঙ্গি করলেন। সাইড লাইনে থাকা সতীর্থরাও দাঁড়িয়ে কনওয়ের এই অর্জনকে সাধুবাদ জানালেন। আর তাতেই রেকর্ডের পাতায় লেখা হয়ে গেল এই কিউই ব্যাটারের নাম। ভারতে অনুষ্ঠিত এবারের বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরি এলো কনওয়ের ব্যাট থেকে।

ইংল্যান্ডের দেয়া ২৮৯ রানের লক্ষ্য পাড়ি দিতে নেমে দলীয় ১০ রানেই উইল ইয়ংকে হারায় নিউজিল্যান্ড। ফুলার লেংথ ডেলিভারিতে লেগ সাইডে সুইং করিয়েছিলেন স্যাম কারান। সেই বল তাড়া করতে গিয়ে নিজের খেলা প্রথম বলেই ইন সাইড এজ হয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন ইয়ং।

এরপর ওয়ান ডাউনে নামিয়ে দেয়া হয় রাচিন রবীন্দ্রকে। এরপর নিউজিল্যান্ডকে আর কোনো বেগ পেতে দেননি কনওয়ে ও রাচিন। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে নিউজিল্যান্ড জয় পেয়েছে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। আদিল রশিদকে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চল দিয়ে চার মেরে মাত্র ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন কনওয়ে।

পরের ৫০ রান পেতে তিনি খরচা করেছেন ৫০ বল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে দায়িত্ব নিয়ে খেলে দলের সঙ্গে নিজের রানটাও বাড়িয়ে নিতে চেয়েছিলেন কনওয়ে। শেষ পর্যন্ত তিনি অপরাজিত ছিলেন ১২১ বলে ১৫২ রান করে। ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি পাওয়া রাচিন ৮২ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো সেঞ্চুরির স্বাদ পান। ২৩ বছর বয়সী এই ব্যাটার শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৯৬ বলে ১২৩ রান করে।

ট্রেন্ট বোল্টের করা ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে ছক্কা মারেন জনি বেয়ারস্টো। আর এভাবেই এবারের বিশ্বকাপে রানের খাতা খুলেছে ইংল্যান্ড। শুরুটা দারুণ হলেও মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ইংল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রানে। যদিও এক সময় মনে হচ্ছিল ইংল্যান্ডের স্কোর তিনশো ছাড়িয়ে যাবে। সেটা হলো না।

বেয়ারস্টো ও ডেভিড মালান দারুণ শুরু করেছিলেন। তবে এই জুটিকে ৪০ এর বেশি করতে দেননি হ্যানরি নিকলস। এই কিউই পেসারের লেংথ বলে আউট সাইড এজ হয়ে আউট হয়েছেন ২৪ বলে ১৪ রান করা মালান। এরপর বেয়ারস্টো বেশিদূর এগোতে পারেননি। তাকে ফিরিয়েছেন মিচেল স্যান্টনার।

নিউজিল্যান্ডের এই স্পিনারের কুইকার ডেলিভারিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হন ইংল্যান্ডের এই ওপেনার। হ্যারি ব্রুক ২৫ ও মঈন আলী ১১ রান করে ফিরে গেলে কিছুটা চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। যদিও একপ্রান্ত আগলে রেখে ইংল্যান্ডের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন রুট।

এই অভিজ্ঞ ব্যাটার একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলেছেন ৮৬ বলে ৭৭ রানের ইনিংস। ১টি ছক্কা ও ৪টি চারে এই রান করেছেন তিনি। তাকে বোল্ড করে সাজঘরে ফিরিয়েছেন গ্ল্যান ফিলিপ্স। এরপর জস বাটলারের ৪২ বলে ৪৩ রান ছাড়া আর কেউ বলার মতো রান করতে পারেননি।

লিয়াম লিভিংস্টোনের ২০, স্যাম কারানের ১৪, ক্রিস ওকসের ১১ ও দুই অপরাজিত ব্যাটার আদিল রশিদের ১৫ ও মার্ক উডের ১৩ রানে শেষ পর্যন্ত লড়াইয়ের পুঁজি নিশ্চিত করে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ম্যাট হ্যানরি ৪৮ রানে ৩ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ডের সেরা বোলার।

শেয়ার করুন: