ওপেনিংয়ে স্বপ্নের শুরুর পরও হেরে গেল বাংলাদেশ
জিততে হলে গড়তে হতো রেকর্ড। কেননা টি-টোয়েন্টিতে ১৭০ রান আগে কখনো তাড়া করেনি বাংলাদেশ।
ওপেনিংয়ে রেকর্ড জুটি গড়ে সেই স্বপ্নটি দেখিয়েছিলেন দিলারা আক্তার ও সোবহানা মোস্তারি। কিন্তু তাদের বিদায়ের পর আর কক্ষপথে থাকতে পারেনি স্বাগতিকরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১২ রানে হারিয়েছে আয়ারল্যান্ড। তাদের ১৬৯ রানের জবাবে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানের বেশি করতে পারেনি টাইগ্রেসরা। অথচ রান তাড়ার শুরুটা কী দুর্দান্তই না হয়েছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ১২ ওভারে ১০৩ রান যোগ করেন দিলারা-মোস্তারি। ভাঙেন ১১ বছরের পুরোনো রেকর্ড। এর আগে বাংলাদেশের কোনো উদ্বোধনী জুটিই শতরান পেরোতে পারেনি। ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৮১ রানের জুটি গড়েছিলেন আয়শা রহমান ও রুমানা আহমেদ। সেই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও দারুণ শুরুর পর জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
প্রথমে মোস্তারিকে ফিরিয়ে আইরিশদের ব্রেকথ্রু এনে দেন ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট। ৩৫ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪৬ রান করেন মোস্তারি। পরে দিলারা আক্তারও পাননি ফিফটির দেখা। ৪১ বলে দুটি করে চার ও ছক্কায় ৪৯ রানে আরলেন কেলির শিকার হন তিনি। একই ওভারে অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতিকেও (৪) তুলে নেন কেলি। এরপর একপ্রান্ত আগলে রেখে শারমিনা আক্তার সুপ্তা আশা জুগিয়েছিলেন বটে। কিন্তু যোগ্য সঙ্গীর অভাবে পরাজিত হয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত ১৩ বলে ২ চারে ২৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। আইরিশদের হয়ে ২২ রানে তিনটি উইকেট নেন কেলি। ২৪ রান খরচে ওরলারও শিকার তিনটি উইকেট। বাকি একটি উইকেট নিজের খাতায় জমা করেন আইমি মাগুয়ার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৬৯ রান করে আয়ারল্যান্ড। যদিও ৪৬ রানে ২ উইকেট হারায় তারা। কিন্তু সেখান থেকে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন অধিনায়ক গ্যাবি লুইস ও লিয়া পল। তৃতীয় উইকেটে ১০৮ রানের জুটি গড়েন তারা। দুজনেই তুলে নেন ফিফটি। তবে ৪২ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৬০ রানে লুইস। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে ৪৫ বলে ১০ চার ও ২ ছক্কায় ৭৯ রান করেন পল। বাংলাদেশের হয়ে একটি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, ফারিহা তৃষ্ণা, জান্নাতুল ফেরদৌস ও নাহিদা আক্তার।
এদিকে একই মাঠে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৭ ডিসেম্বর।