এক মাসে জব্দ সাড়ে ৪০ হাজার কেজি পলিথিন
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব তপন কুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন, সারা দেশে এক মাসে (৩ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর) ১৬৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। এতে ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে ১৯ লাখ ২৯ হাজার ৯০০ টাকা। সে সঙ্গে ৪০ হাজার ৬০৮ কেজি পলিথিন ব্যাগ জব্দ করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) রাজধানীর নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারে মনিটরিং শেষে এসব তথ্য জানান তপন কুমান।
এর আগে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে নিউমার্কেট কাঁচাবাজার মনিটরিং করেন মনিটরিং কমিটির সদস্যরা। কাঁচাবাজারের প্রতিটি দোকানে পলিথিন পাওয়া গেলেও কাউকে জরিমানা করা হয়নি। শুধু সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
এ সময় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, নিউমার্কেট একটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এ বাজারেও কিন্তু পলিথিনের ব্যবহার আগের চেয়ে অনেকটা কমে এসেছে। কিছু আছে, সেটা পর্যায়ক্রমে বন্ধ হয়ে যাবে। পলিথিন ব্যাগের বিকল্প নিয়ে সার্বিকভাবে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বিভিন্ন এনজিও এগিয়ে এসেছে। সার্বিকভাবে পরিবেশের জন্য ভীষণভাবে ক্ষতিকর পলিথিন ব্যবহার বন্ধে আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। আমরা সাফল্যের দিকে যাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কাঁচাবাজারে নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যাগের ব্যবহার বন্ধ করার জন্য আমরা চেষ্টা করছি। সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ নভেম্বর থেকে পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার করা যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা সব মহল থেকে আন্তরিক সহযোগিতা পাচ্ছি। একটি মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। যার আহ্বায়ক আমি। আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। আমাদের কাজ হচ্ছে সচেতনতামূলক কাজ পরিচালনা করা। এটি যে ক্ষতিকর সেটা সবাই স্বীকার করে নিচ্ছেন।
তপন কুমার বিশ্বাস বলেন, বড় সুপারশপগুলোতে পলিথিন শপিং ব্যাগ ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। কাঁচাবাজারগুলোতে পলিথিনের কিছুটা ব্যবহার আছে। কিন্তু সেখানেও ব্যবহার অনেকটা কমে এসেছে।
এ সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক রাজিনারা বেগম, পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত উপসচিব সিদ্ধার্থ শংকর কুন্ডু, সিনিয়র সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান এবং বনলতা মার্কেট কাঁচাবাজারের সাধারণ সম্পাদক মো. শফিউল্লাহসহ ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।