November 23, 2024
আন্তর্জাতিকলেটেস্ট

‘এক দেশ এক ভোট’ ভারতের ওপর হামলা: রাহুল গান্ধী

ভারতে একযোগে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। ‘এক দেশ, এক ভোট’ নামের এই পরিকল্পনা পুরো ভারতের ওপর হামলা বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) আজ রোববার রাহুল গান্ধী লেখেন, ‘ভারত হচ্ছে এর রাজ্যগুলোর একটি সংঘ। এক দেশ, এক ভোট পরিকল্পনা ভারত ও এর রাজ্যগুলোর ওপর একটি হামলা।’

ভারতে একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার নির্বাচন আয়োজনের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে একটি উচ্চপর্যায়ের কমিটি করেছে দেশটির সরকার। কমিটির নেতৃত্ব দেবেন ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।

একযোগে লোকসভা, বিধানসভা, পৌরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন করার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ নিয়ে নিজেদের সুপারিশ জানাতে গতকাল শনিবার আট সদস্যের ওই কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার।

বিষয়টি নিয়ে কাজ করার পর এ পদ্ধতিতে নির্বাচন আয়োজন করতে সংবিধানে সুনির্দিষ্ট কী কী সংশোধন আনতে হবে, সে বিষয়ে সুপারিশ দেবে কমিটি। এ ছাড়া জনপ্রতিনিধিত্ব আইনসহ অন্যান্য আইনে কী পরিবর্তন আনার দরকার পড়তে পারে, সে বিষয়টিও জানাবে।

এদিকে উচ্চপর্যায়ের ওই কমিটিতে থাকার প্রস্তাব এরই মধ্যে ফিরিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরী। পাশাপাশি রাজ্যসভায় বিরোধীদলীয় নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কমিটিতে না রাখায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। খাড়গের বদলে সাবেক বিরোধীদলীয় নেতা গুলাম নবী আজাদকে কমিটিতে রেখেছে সরকার।

এক দেশ, এক ভোট নীতি মোটেও নতুন নয়। স্বাধীন গণতান্ত্রিক ভারতের ভোট ওই নীতি মেনেই শুরু হয়েছিল। ১৯৫২ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত ওই নীতিতেই লোকসভা ও বিধানসভা ভোট হয়ে এসেছে। কিন্তু রাজনীতি যত জটিল হয়েছে, দলের সংখ্যা বেড়েছে। দল ও সরকার ভাঙা–গড়ার প্রবণতা যত বেড়েছে, একদলীয় শাসনের জায়গা নিয়েছে বহুদলীয় জোট সরকার, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ততই নড়বড়ে হয়েছে। জটিলতাও বেড়েছে। এ অবস্থায় নীতিগতভাবে এক দেশ, এক ভোট বাঞ্ছনীয় হলেও তার কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে।

শেয়ার করুন: