একমাসে মসুর ডালের দাম বেড়েছে কেজিতে ২০ টাকা
বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি যেন থামতে চাইছে না। প্রতিনিয়ত বাড়ছে কোনো না কোনো ভোগ্যপণ্যের দাম। দফায় দফায় পাইকারি বাজারে মসুর ডালের দাম বাড়ছে। এতে খুচরায় গত এক মাসে আগে মানভেদে মসুর ডালের দাম ২০ টাকা বেড়েছিল। প্রতিদিন বাজার দরের হিসাব রাখে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। সংস্থাটির তথ্যও বলছে এমনটা। এ সংস্থা আমদানি করা মোটা দানার মসুর ডাল থেকে শুরু করে দেশি সরু ডালের দামের হিসাব দিয়েছে। ফলে সংসার চালাতে বাড়তি চাপের মুখে পরতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
তাতে দেখা গেছে, একমাস আগে সরু ভালোমানের দেশি ডাল গত মাসে বিক্রি হয়েছে প্রতিকেজি ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে। যা এখন বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকায়। তবে এতটা বাড়েনি মোটা দানার আমদানি করা ডালের দাম। এ ডাল আগে বিক্রি হতো ১০৮ থেকে ১১০ টাকা কেজিতে, যা এখন ১১০ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে বাজারের তথ্য বলছে, চলতি মাসের শুরুতে মসুর ডালের দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছিল। মাঝে কয়েক দিন কমে আবার বেড়েছে এখন। বর্তমানে মোটা দানার ডালের কেজি ১১০ থেকে ১২০ এবং ছোট দানার ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, দুই-তিন দিন ধরে পাইকারি পর্যায়ে বস্তায় (২৫ কেজি) ১০০ থেকে ১৫০ টাকা বেড়েছে।
বাংলাদেশ পাইকারি ডাল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শফি মাহমুদ বলেন, ডলারের দাম বাড়ার কারণে এলসি খোলা যাচ্ছে না। এতে আমদানি কমেছে, কিছুটা সংকটও তৈরি হয়েছে। যার প্রভাব পড়েছে দামে। এছাড়া দেশি ডালের সংকট রয়েছে। আমদানি কমার প্রভাবে দেশি ডালের দামই বেশি বেড়েছে।
মসুরের পাশাপাশি অন্য ডালের দামও চড়া। মাসখানেক ধরে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে মুগ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা। অ্যাংকর ও খেসারি ডাল কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে যথাক্রমে ৭০ থেকে ৭৫ এবং ৮০ থেকে ৮৫ টাকায়।
তথ্য বলছে, দেশে বছরে ডালের চাহিদা প্রায় ২৮ লাখ টন। এর মধ্যে স্থানীয় উৎপাদন ৯ থেকে ১০ লাখ টন। ফলে প্রতি বছর ১৮ থেকে ১৯ লাখ টন ডাল আমদানি করতে হয়, যার বেশির ভাগই মসুর ডাল ও ছোলা। এসব ডালের সিংহভাগ আমদানি করা হয় অস্ট্রেলিয়া, কানাডা ও নেপাল থেকে।