এআর-স্টাইলের রাইফেল দিয়ে ট্রাম্পকে গুলি
যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনী সমাবেশে হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। মাত্র ২০০ ফুট দূর থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে হামলাকারী। হামলায় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেও তার ডান কানে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং গুলি কান ছিঁড়ে বেরিয়ে গেছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, সন্দেহভাজন হামলাকারী একটি এআর-স্টাইলের রাইফেল দিয়ে এই হামলা চালিয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা সংস্থার একাধিক কর্মকর্তা।
‘এআর স্টাইল’ রাইফেল একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র, যা দিয়ে কয়েক সেকেন্ডে ডজন ডজন গুলি ছোড়া সম্ভব। হামলার পর সিক্রেট সার্ভিস স্নাইপাররা ঘটনাস্থলে একটি এই এআর-স্টাইলের রাইফেল খুঁজে পান। তবে একজন বন্দুকধারী এ হামলা চালিয়েছে না কি তার সঙ্গে আরও কেউ ছিল তা নিশ্চিত হতে পারেনি নিরাপত্তা কর্মকর্তারা।
বিবিসি বলছে, মাত্র ২০০ ফুট দূর থেকে ট্রাম্পকে লক্ষ্য করে এ গুলিবর্ষণ করে হামলাকারী। ট্রাম্পের সমাবেশ মঞ্চের পাশে একটি বিল্ডিংয়ের ছাদ থেকে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন নিরাপত্তা কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, ট্রাম্পকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে।
হামলার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাতে দেখা গেছে ট্রাম্পের কান ও মুখমণ্ডল বেয়ে রক্ত পড়ছে। এরপর দ্রুত তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে পাশে থাকা একটি গাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
একজন প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করেছেন, মঞ্চের কাছাকাছি একটি ভবনের কাছ থেকে গুলি করা হয়েছে এবং তিনি গুলির পর আততায়ীকে ওই ছাদ ত্যাগ করতে দেখেছেন।
আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, গুলি চালানোর কয়েক মিনিট আগে তিনি পাশের একটি ভবনের ছাদে একজন ব্যক্তিকে দেখেছিলেন। তিনি ‘তিন থেকে চার মিনিট’ ধরে পুলিশকে বিষয়টি জানানোর চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ছাদের ঢালের কারণে তারা সম্ভবত বন্দুকধারীকে দেখতে পাননি।
হামলার পরপরই গোয়েন্দা ও নিরপত্তাকর্মীরা ট্রাম্পকে ঘিরে ধরে এবং হামলাকারীকে লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি ছোড়ে। ঘটনাস্থলেই নিহত হয় হামলাকারী। নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের তাৎক্ষণিক তৎপরতার জন্য তাদের ধন্যবাদ দিয়েছেন ট্রাম্প।