April 8, 2025
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

ঈদযাত্রায় সড়কে নিহত ২৪৯ জন : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন

সদ্য বিদায়ী পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ও পরের ১১ দিনে (২৬ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল) সারাদেশে ২৫৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৪৯ জন নিহত হয়েছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী আহত হয়েছেন ৫৫৩ জন। কিন্তু বাস্তবে আহতের সংখ্যা ২ হাজারের বেশি।

শুধু ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতালেই ঈদের ২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৫৭১ জন, যার অধিকাংশই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্ত।

সোমবার (৭ এপ্রিল) সংবাদ মাধ্যমে রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক সাইদুর রহমানের পাঠানো দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। রোড সেফটি ফাউন্ডেশন ৯টি জাতীয় দৈনিক, ৭টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল, ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম এবং নিজস্ব তথ্যের ভিত্তিতে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে।

প্রতিবেদনও বলা হয়, এই সময়ে সারাদেশে ১১৪টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হন ১০৬ জন। দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৩৯ জন পথচারী, যানবাহনের চালক ও সহকারী নিহত হয়েছেন ৩২ জন। ৬টি নৌ-দুর্ঘটনায় ১৩ জন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। ১৭টি রেলপথ দুর্ঘটনায় ১২ জন নিহত এবং ৮ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি ঘটেছে। ৭৪টি দুর্ঘটনায় ৬২ জন নিহত হয়েছেন। সিলেট বিভাগে সবচেয়ে কম ৭টি দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত হয়েছেন। একক জেলা হিসেবে চট্টগ্রাম জেলায় সবচেয়ে বেশি ১৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত হয়েছেন।

রাজধানী ঢাকায় ৩১টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৭ জন নিহত ও ৪৮ জন আহত হয়েছেন।

ঈদযাত্রা ও দুর্ঘটনা পর্যালোচনা

এবারের ঈদুল ফিতরে রাজধানী ঢাকা থেকে কমবেশি ১ কোটি ১৫ লাখ মানুষ ঘরমুখী যাত্রা করেছেন এবং দেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৪ কোটি মানুষ যাতায়াত করেছেন। ঈদের আগে-পরে যথেষ্ট ছুটি থাকা, অনুকূল আবহাওয়া, বিভিন্ন সড়কের অবস্থা ভালো থাকা এবং সরকারের ব্যাপক তৎপরতার কারণে ঈদযাত্রা স্বস্তিকর ছিল। তবে সড়ক ও নৌ-পথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হয়েছে।

২০২৩ সালের ঈদুল ফিতরের আগে-পরে ১৪ দিনে ২৪০টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন নিহত এবং ৪৫৪ জন আহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিলেন ২০.৩৫ জন। ২০২৪ সালে ১৫ দিনে ৩৫৮টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৬৭ জন নিহত ও ১৫০০ জনের বেশি আহত হয়েছিলেন। প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছিলেন ২৪.৪৬ জন। এই বছরে ১১ দিনের ঈদযাত্রায় প্রতিদিন গড়ে নিহত হয়েছেন ২২.৬৩ জন। এই হিসেবে গত বছরের তুলনায় প্রাণহানি কমেছে ৭.৪৮ শতাংশ।

ঈদ উদযাপনকালে ব্যাপক হারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে। কিশোর-যুবকরা বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালিয়ে আক্রান্ত হয়েছে। বেপরোয়া মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ১৩ জন পথচারী নিহত হয়েছেন। মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আক্রান্তদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বয়স ১৪ থেকে ২০ বছর।

শেয়ার করুন: