ইহুদি বিয়ে করা কমলা হ্যারিসকেই ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বললেন ট্রাম্প
কমলা হ্যারিসের স্বামী ইহুদি ধর্মানুসারী। তবুও তাকেই ইহুদিবিদ্বেষী তকমা দিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বীকে আক্রমণ করতে গিয়ে শুক্রবার (২৬ জুলাই) এ ধরনের বেশ কিছু ‘ভুল’ বা ‘মিথ্যা’ দাবি করেছেন ৭৮ বছর বয়সী এ নেতা।
কমলা হ্যারিসের স্বামীর নাম ডগলাস ক্রেগ এমহফ। ২০১৪ সালে বিয়ে করেন তারা। ২০২১ সালে কমলা ভাইস প্রেসিডেন্ট হলে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম সেকেন্ড জেন্টলম্যান হন ডগলাস। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবার কোনো প্রেসিডেন্ট বা ভাইস প্রেসিডেন্টের ইহুদি জীবনসঙ্গী হওয়ার রেকর্ডও তার।
প্রায় ১০ বছর ধরে একজন ইহুদির সঙ্গে সংসার করা কমলা হ্যারিসকেই শুক্রবার ইহুদিবিদ্বেষী বলে মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন ফ্লোরিডায় একটি ধর্মীয় সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় ডেমোক্র্যাট প্রার্থীকে যা যা বলে আক্রমণ করেন রিপাবলিকান নেতা, তার অনেক তথ্যই ছিল ভুল বা মিথ্যা।
ভাষণে ট্রাম্প দাবি করেন, গত বুধবার মার্কিন কংগ্রেসে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বক্তৃতা দেওয়ার সময় কমলা হ্যারিস সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। কারণ তিনি ইহুদিবিদ্বেষী।
ট্রাম্প বলেন, তিনি (কমলা) ইহুদিদের পছন্দ করেন না। তিনি ইসরায়েলকে পছন্দ করেন না। বিষয়টি এমনই এবং সবসময় এমনই থাকবে। তিনি পরিবর্তন হবেন না।
প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ওই ভাষণে পুলিশিং, অভিবাসন ও পরিবেশ সম্পর্কে কমলা হ্যারিসের আগের বিভিন্ন বিবৃতি নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি আরও দাবি করেন, মার্কিন বিচার বিভাগ ও এফবিআই খ্রিস্টান ও গর্ভপাতবিরোধী আন্দোলনকারীদের আটক করছে এবং ‘ধর্মীয় বিশ্বাসের’ কারণে তাদের কারাগারে নিক্ষেপ করছে। যদিও এ বিষয়ে কোনো ধরনের প্রমাণ দেখাননি তিনি।
এসময় কমলা হ্যারিসকে একজন ব্যর্থ ভাইস প্রেসিডেন্ট বলে উল্লেখ করেন ট্রাম্প। তিনি দাবি করেন, কেবল ক্যাথলিক হওয়ার কারণে ফেডারেল বিচারপতিদের প্রত্যাখ্যান করেছিলেন কমলা এবং সুপ্রিম কোর্টে ‘কট্টর মার্কসবাদীদের’ নিয়োগ দেবেন তিনি।
ট্রাম্প আরও দাবি করেন, কমলা হ্যারিস শিশুদের রাসায়নিক ক্যাস্ট্রেশন ড্রাগ দিতে চিকিৎসদের বাধ্য করতে চান। আসন্ন নির্বাচনে জিততে কমলা প্রতারণার আশ্রয় নিতে পারেন বলেও দাবি করেন এ রিপাবলিকান নেতা।