August 27, 2025
জাতীয়লেটেস্টশীর্ষ সংবাদ

ইসির সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুনানি/ ‘হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে’

সীমানা পুনর্নির্ধারণে নারায়ণগঞ্জ ৩, ৪ ও ৫ আসনের আপত্তি আবেদনের শুনানি পুনর্বিবেচনা না করলে জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকসুদুল খন্দকার খোরশেদ।  তিনি বলেন, সীমানা নিয়ে তাদের দাবি পুনর্বিবেচনা না করলে এবং পরে এগুলো নিয়ে হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে তৃতীয় দিনের মতো সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ শুনানিতে এমন মন্তব্য করেন তিনি। মাকসুদুল খন্দকার খোরশেদ বলেন, এখানে আমি প্রতিবাদ জানাতে এসেছি। আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন থেকে পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সঙ্গে (সোনারগাঁও) অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ফলে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের মানুষ রাজনৈতিক, সামাজিক ও ভৌগোলিকভাবে বঞ্চনার শিকার হয়েছে। সেই বঞ্চনার কথা কমিশনকে আমি জানিয়েছি। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে এ আসনে সমন্বিতভাবে রাজনীতি হলেও এখন বৈষম্য বাড়বে জানিয়ে তিনি বলেন, এখন যদি একটা বিরাট অংশ বিভক্ত হয়ে সোনারগাঁওয়ের সঙ্গে চলে যায়। আমরা এতদিনে যে নেতাকর্মী তৈরি করেছি, তাদের মধ্যে অনেকে প্রার্থী আছে, আমরা সবাই বঞ্চিত হব। খোরশেদ দাবি করেন, সবচেয়ে বড় কথা নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নকে কেটে নেওয়া হচ্ছে। ফলে যে প্রশাসনিক অখণ্ডতার কথা বলা হয়েছে সেই অখণ্ডতার বিষয়টা পুরোপুরি লঙ্ঘন করা হচ্ছে। সীমানার কারণে আগামী নির্বাচনও আটকে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আশা করি অবশ্যই নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমাদের দাবি পুনর্বিবেচনা করবে। নতুবা আমরা মনে করি আগামী যে নির্বাচন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত এ নির্বাচনকে বানচাল করার লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে। আমরা মনে করি, এগুলো নিয়ে হাইকোর্ট-সুপ্রিমকোর্ট করলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে। এদিকে অ্যাডভোকেট মোহম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, প্রস্তাবিত নারায়ণগঞ্জ-৫ পাঁচ আসনের ভেতরে তিনটি থানার কথা উল্লেখ করা হয়েছে- সিদ্ধিরগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দরের একটি একাংশ। তিনটি থানা নিয়ে আমাদের নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আমরা এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। তার ভাষ্য, সিদ্ধিরগঞ্জ একটা ফুটবলের মতো হয়ে গেছে। আমরা প্রথমে ছিলাম নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের, পরবর্তীতে গেছি নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে। আর ২০০৮ সালের পরে আমাদের দেওয়া হয়েছে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে। এখন নতুন করে আমাদের বলা হচ্ছে নারয়াণগঞ্জ-৫ আসনের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হতে! তিনি বলেন, আমরা চাই সোনারগাঁওয়ের সঙ্গে থাকতে। ২০০৮ সালে সোনারগাঁও ও সিদ্ধিরগঞ্জ মিলে ছিল নারায়ণগঞ্জ-৩, তেমনটাই করতে হবে এবার।
শেয়ার করুন: