ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি
‘মধ্যপ্রাচ্যের দখলদার’ খ্যাত দেশ ইসরায়েলে ইরানের ভয়াবহ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে।
মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) রাতে ইরানের হামলার পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম ১ ডলারের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
মূলত মধ্যপ্রাচ্যে আরো বৃহৎ সংঘাত এবং চলমান উত্তেজনার কারণে তেল সরবরাহে বিঘ্নিত হওয়ার শংকায় এ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছে।
বর্তমান তালিকা অনুযায়ী, ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম ১ দশমিক ৪১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেল ৭৪ দশমিক ৬০ ডলারে পৌঁছেছে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই) অপরিশোধিত তেল ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ব্যারেল প্রায় ৭১ ডলারে পৌঁছেছে।
এছাড়া মঙ্গলবারের লেনদেনে উভয় অপরিশোধিত তেলের বেঞ্চমার্কের দাম ৫ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পায়।
ফিলিপ নোভার সিনিয়র মার্কেট বিশ্লেষক প্রিয়াঙ্কা সচদেভা বলেন, ‘তেল বাজারগুলো মূলত জ্বালানির চাহিদা হ্রাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতির দুর্বলতার গল্পের ওপর নির্ভর করছিল। তবুও ইরান ইসরায়েলের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের পর, মধ্যপ্রাচ্যে তেল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।’
মার্কিন এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী, ইরান বিশ্বের সপ্তম বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ। শিয়া প্রধান দেশটি তেল উৎপাদনকারী দেশের সংস্থা ওপেকের তৃতীয় বৃহত্তম সদস্য।
ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের একটি নোটে বলা হয়েছে, ‘ইরানের বড় ধরনের হামলা যুক্তরাষ্ট্রকে যুদ্ধে টেনে নিতে পারে। ইরান বিশ্ব তেল উৎপাদনের প্রায় ৪ শতাংশ জোগান দেয়। তবে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যদি ইরানের সরবরাহ বিঘ্নিত হয়, তবে সৌদি আরব উৎপাদন বাড়াবে কিনা।’
এ বিষয়ে ওপেক প্লাসের একটি প্যানেল বুধবার বৈঠক করবে এবং তেল বাজারের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। তবে এই বৈঠক থেকে কোনো নীতিগত পরিবর্তন আশা করা হচ্ছে না।
অন্যদিকে ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, মধ্যপ্রাচ্যে সামরিক উত্তেজনা বাড়লে হরমুজ প্রণালির শিপিং কার্যক্রমে প্রভাব পড়তে পারে। ওমান ও ইরানের মধ্যে অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ এই শিপিং রুট দিয়ে বিশ্বের ২০ শতাংশ তেল সরবরাহ হয়ে থাকে।