October 7, 2024
আন্তর্জাতিক

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলা চালানো উচিত: ট্রাম্প

ইসরায়েলকে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মনে করেন, ইরানের পরমাণু কর্মসূচির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়াই ইসরায়েলের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) নর্থ ক্যারোলিনার ফায়েটভিল শহরে এক প্রচারসভায় ট্রাম্প বলেন, তাদের (ইরান) পরমাণু স্থাপনা নিশানা করাই সবচেয়ে জরুরি। কারণ এটিই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় ঝুঁকি।

এর আগে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সাংবাদিকদের বলেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক হামলা সমর্থন করেন না তিনি।

এর বদলে ইহুদি রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে ইসলামিক প্রজাতন্ত্রটির ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিক্রিয়া জানানোর জন্য একটি বিস্তৃত আন্তর্জাতিক ঐকমত্য গড়ে তোলার পক্ষে তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ইঙ্গিত করে ট্রাম্প বলেন, ‘সাংবাদিকরা তাকে (বাইডেন) প্রশ্ন করেছিল, ইরান সম্পর্কে আপনার কী ধারণা, আপনি কি ইরানে আঘাত হানবেন? আর তিনি (বাইডেন) বলেন, ‘না, যতক্ষণ পর্যন্ত ইসরায়েলের পারমাণবিক স্থাপনায় ইরান হামলা না চালাচ্ছে ততক্ষণ হামলা চালানো হবে না।

‘এর মানে বাইডেন হামলা চালাতে চান, তাই তো?’ উল্টো প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ট্রাম্প।

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেন, ‘যখন সাংবাদিকরা তাকে এ প্রশ্ন করেছিল, তখন উত্তরটা হওয়া উচিত ছিল, ‘আগে ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় আঘাত করা হবে, বাকি বিষয়ে পরে ভাবলেও চলবে’।’

ইসরায়েলের দিকে প্রায় ২০০ ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের জবাবে বুধবার ইরানের পরমাণু স্থাপনায় এ ধরনের হামলার বিরোধিতা করেন বাইডেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত বিমান এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে বুধবার সাংবাদিকদের বাইডেন বলেন, ‘ইসরায়েলিরা কী করতে যাচ্ছে তা নিয়ে আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করব, তবে আমাদের (জি৭ দেশগুলোর প্রধানরা) সবাই একমত যে, তাদের প্রতিক্রিয়া জানানোর অধিকার আছে, কিন্তু তাদের সমানুপাতিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত।’

তবে ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি নিয়ে খুব কমই কথা বলেছেন। কিন্তু তিনি এক বিবৃতিতে বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্যের এই সংকটের জন্য বাইডেন এবং হ্যারিসকে দায়ী করেছেন।

শেয়ার করুন: