ইরানি স্যাটেলাইট ড্রোনে ঘুম হারাম ইসরায়েলের
ইরানের সর্বশেষ আত্মঘাতী স্যাটেলাইট ড্রোনের সক্ষমতা ইসরায়েলের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মধ্যে ভয় ও আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে।
ইরান গত সেপ্টেম্বরে ‘শাহেদ ১৩৬ বি’ ড্রোন উন্মোচন করেছে। অবাক করার মতো বিষয় হচ্ছে ড্রোনটি চার হাজার কিলোমিটার পাল্লার।
এই ড্রোনের ৪ হাজার কিলোমিটার পাল্লার কথা উল্লেখ করতে গিয়ে বলা হচ্ছে যে, শাহেদ ১৩৬ বি তেহরান এবং প্যারিসের দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।
তেলআবিবের উচ্চপর্যায়ের নিরাপত্তা সূত্রগুলো স্বীকার করেছে যে, এই ড্রোন ক্লাসিক ড্রোনের তুলনায় দূরবর্তী স্থানের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করার ক্ষেত্রে অন্যতম।
ইরানি ড্রোনটির চমৎকার কৌশলগত ক্ষমতা রয়েছে এবং স্যাটেলাইট প্রযুক্তির মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে। ক্রুজ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের তুলনায় এই ড্রোন কম খরচে অনেক বেশি দূরে শত্রুদের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে।
ইসরায়েলি সূত্রগুলো জানিয়েছে, ইরান বছরের পর বছর ধরে কম খরচে কার্যকর সামরিক সক্ষমতা জোরদার করার চেষ্টা করছে। এই ড্রোনগুলোর উৎপাদন এটি প্রমাণ করেছে যে, ইরান আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক অস্ত্র উৎপাদনের ক্ষেত্রে তার বৈজ্ঞানিক ও প্রকৌশলগত সক্ষমতা কতটা প্রয়োগ করতে সক্ষম এবং তারা এসব ড্রোন আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক শত্রুর বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে।
এই ড্রোনের সাহায্যে ইরান পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোসহ উত্তর আফ্রিকা বা ইউরোপের আরও দূরে শত্রুপক্ষের লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করতে পারে।
ইসলামী বিপ্লবী গার্ডবাহিনী বা আইআরজিসি ২০১১ সালে শাহেদ আত্মঘাতী ড্রোনের প্রাথমিক সংস্করণের নকশা করেছিল। ‘শাহেদ ১৩৬ বি’ সম্পর্কে জোর দিয়ে বলায় যায়: এই ড্রোনটি একটি আত্মঘাতী ধরণের এবং নির্দিষ্ট মিশনের জন্য তৈরি।
ড্রোনটি বিস্ফোরক বহন করতে এবং লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে সক্ষম। এই ধরণের ড্রোন তাদের বিশেষ নকশা এবং উচ্চ ধ্বংসাত্মক ক্ষমতার কারণে সামরিক অভিযানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
‘শাহেদ ১৩৬ বি’ ড্রোনের প্রকাশিত স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী, এই ড্রোনের পাল্লা ৪,০০০ কিলোমিটার এবং ৫০ কিলোগ্রাম ওজনের ওয়ারহেড রয়েছে।