ইতিহাস গড়ে প্রথমবারের মত এশিয়ান কাপের মূল পর্বে বাংলাদেশ
অনূর্ধ্ব-২০ এশিয়ান কাপের মূল পর্বে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়েই আজ মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। শক্তিশালী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ড্র করতে পারলেই মিলবে মর্যাদার এ টুর্নামেন্টে খেলার টিকিট, এমনটাই ছিল সমীকরণ। তবে র্যাঙ্কিংয়ে ৮৩ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে খেলতে নেমে বড় হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় লাল-সবুজের দলকে। প্রথমার্ধে সমতা রক্ষা করতে পারলেও দ্বিতীয়ার্ধে ৫ গোল হজম করে মাঠ ছাড়তে হয় ৬-১ গোলের হার নিয়ে। তাতে অপেক্ষা বাড়ে মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জনের। তবে এ অপেক্ষা দীর্ঘায়িত হল না।
দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ৬-১ ব্যবধানে হারায় মূল পর্বে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের সমীকরণ বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সেরা তিনটি রানার্সআপ দলের একটি হয়ে চূড়ান্ত পর্বে যাওয়ার সুযোগ ছিল আফঈদার দলের। মূল পর্বে খেলার ভাগ্য নির্ভর করছিল ‘সি’ গ্রুপে অস্ট্রেলিয়া-চায়নিজ তাইপে, ‘ই’ গ্রুপে চীন-লেবানন ও ‘জি’ গ্রুপের উজবেকিস্তান-জর্ডান ম্যাচের ফলাফলের ওপর।
‘ই’ গ্রুপে লেবানন যদি চীনের কাছে হেরে যায় তাহলেই মূল পর্বে খেলা নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের। এছাড়া অজিরা চায়নিজ তাইপেকে নির্দিষ্ট গোল ব্যবধানে হারাতে পারলেও এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ আছে বাংলাদেশের- এমনই ছিল সমীকরণ।
এদিকে আজ ‘ই’ গ্রুপে চীনের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে লেবানন। লেবাননকে ৮-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে চাইনিজ মেয়েরা। আর তাতেই সেরা তিন রানার্সআপের একটি হয়ে প্রথমবারের মতো অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ।
চীনের কাছে লেবানন বিশাল ব্যবধানে হারায় নিশ্চিত হয়ে যায় আট রানার্সআপের পাঁচটিই থাকছে বাংলাদেশের নিচে। গত জুলাইয়ে মিয়ানমারে ইতিহাস গড়ে জাতীয় নারী ফুটবল দল। বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলে প্রথমবারের মত এশিয়ান কাপের মূল পর্বে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেন ঋতুপর্ণা চাকমারা। এরপর এবার ইতিহাস গড়লেন অনূর্ধ্ব-২০ দলের ফুটবলাররা।
দেশের ফুটবল ইতিহাসে সর্বপ্রথম ১৯৮০ সালে কুয়েতে হওয়া এশিয়ান কাপে খেলেছিল পুরুষদের জাতীয় ফুটবল দল। এরপর ২০০৫ সালে অনূর্ধ্ব-১৭ এশিয়ান কাপে খেলে বাংলাদেশের মেয়েরা। তারা আরও দুবার ২০১৭ ও ২০১৯ আসরেও খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।
অনূর্ধ্ব-২০ আসরের বাছাইপর্বে প্রথম ম্যাচে লাওসকে ৩-১ গোলে হারানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে পূর্ব তিমুরকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ। কোরিয়ার কাছে আজ হারে ৬-১ ব্যবধানে। টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ চার গোল করেছেন তৃষ্ণা। পূর্ব তিমুরের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি। এর আগে ঘরের মাঠে সাফও জিতেছে অনূর্ধ্ব-২০ নারী দল। আগামী বছর থাইল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এশিয়ান কাপের মূল আসরে এখনো পর্যন্ত সরাসরি জায়গা করে নিয়েছে উত্তর কোরিয়া, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও চীন। আগামী ১ থেকে ১৮ এপ্রিল থাইল্যান্ডে হবে অনূর্ধ্ব-২০ নারী এশিয়ান কাপ।