ইউরোপকে কড়া হুঁশিয়ারি ইরানের
ইরানের আণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান তার দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিনটি দেশকে সতর্ক করেছেন।
তিনি বলেছেন, ইরানের বিরুদ্ধে কোনো প্রস্তাব পাশ করা হলে স্বাভাবিকভাবেই তাৎক্ষণিকভাবে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার ইরানের আছে।
আন্তজার্তিক আণবিক শক্তি সংস্থা বা আইএইএর প্রধান রাফায়েল গ্রোসি যখন তেহরানে ইরানি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং পরমাণু ইস্যুতে বিতর্কিত সমস্যাগুলোর সমাধান করার জন্য ইরান সফরে এসেছেন তখন কিছু মিডিয়া কূটনীতিকদের উদ্ধৃত করে বলেছে, জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ড এই সপ্তাহে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার বোর্ড অফ গভর্নরসের ত্রৈমাসিক বৈঠকে ইরানের বিরুদ্ধে একটি প্রস্তাব পাশের চেষ্টা করছে।
ইরানি গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, রাফায়েল গ্রোসির তেহরান সফরের সময় ইরানের কর্মকর্তারা এনপিটির কাঠামোর মধ্যে আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থাকে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করার জন্য এবং যে কোনো রাজনৈতিক চাপের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তেহরানের প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেছেন।
আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির সঙ্গে এক বৈঠকে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেছেন, ইরান পারমাণবিক প্রযুক্তিতে যা চাইছে তা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার আইনি কাঠামো এবং নিয়ম কানুন অনুসারেই করছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘যেহেতু আমরা বারবার আমাদের সদিচ্ছা প্রমাণ করেছি যে আমরা ইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি সম্পর্কে কথিত অস্পষ্টতা এবং সন্দেহ দূর করার জন্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে যে কোনো সহযোগিতা করতে এবং একসঙ্গে বসতে প্রস্তুত। যদিও আজ বিশ্ব বিশ্বাস করেছে যে ইসলামি ইরান বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা চায়।
মাসুদ পেজেশকিয়ান পরমাণু সমঝোতা চুক্তি বা জেসিপিওএর প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশগুলির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দিকেও ইঙ্গিত করে বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার একাধিক প্রতিবেদন নিশ্চিত করেছে যে আমরা এই চুক্তিতে আমাদের সমস্ত প্রতিশ্রুতি বা বাধ্যবাধকতা পূরণ করেছি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র একতরফাভাবে জেসিপিওএ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে বেরিয়ে গেছে।