ইউক্রেনের জন্য সামরিক বরাদ্দ অর্ধেকে নামিয়ে আনছে জার্মানি
ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তার বরাদ্দ অর্ধেকে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির অন্যতম ঘনিষ্ঠ ইউরোপীয় মিত্র জার্মানি। আগামী ২০২৫ সাল থেকে কার্যকর হবে এই সিদ্ধান্ত।
বুধবার জার্মানির অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান লিন্ডনার এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রসঙ্গে জানান, ২০২৪ সালের পুরো বছর ইউক্রেনকে ৮০০ কোটি ইউরো’র সমপরিমাণ সামরিক সহায়তা দেবে জার্মানির সরকার। পরের বছর ২০২৫ সালের পুরো বছর এই সহায়তার পরিমাণ হবে মোট ৪০০ কোটি ইউরো।
সংবাদ সম্মেলনে জার্মান অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রত্যাশা করব—ইউরোপের অন্যান্য দেশ এবং জি ৭ জোটের অন্যান্য দেশগুলো ইউক্রেনের সহায়তার পরিমাণ আরও বাড়ানোর ক্ষেত্রে এগিয়ে আসবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহ থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত যেসব দেশ ইউক্রেনকে সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে, সেসবের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে জার্মানি। টানা দুই বছর বিপুল পরিমাণ সহায়তা দেওয়ায় এখন দেশটির নিজেদের সামরিক খাতে সংকট দেখা দিয়েছে।
কারণ এই সময়সীমার মধ্যে নিজেদের সেনা বাহিনীকে শক্তিশালী করতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি জার্মানির সরকার। উপরন্তু সম্প্রতি বার্লিন তার নিজেদের অস্ত্রাগার থেকে ৩টি প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থা ইউক্রেনকে দান করেছে। এতে তাদের নিজেদের ক্ষেপণাস্ত্র সুরক্ষা ব্যবস্থার সংখ্যা নেমে এসেছে ৯টিতে।
তাছাড়া কয়েক বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট ন্যাটো তার সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রত্যেকের জন্য তাদের বার্ষিক জিডিপির ২ শতাংশ চাঁদা হিসেবে বরাদ্দ দেওয়ার আইন করেছে। গত দুই বছরের প্রতিবারই সেই নিয়ম অনুযায়ী চাঁদা দিতে ব্যর্থ হয়েছে জার্মানি।
ইউরোপের রাজনীতি বিশ্লেষকদের মতে, মূলত এসব কারণেই ইউক্রেনে সামরিক বরাদ্দ হ্রাসের সিদ্ধান্ত নিয়েছে চ্যান্সেলর ওলাফ শুলজের নেতৃত্বাধীন সরকার।