আসিয়ান সংলাপে অংশীদার হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চান প্রধান উপদেষ্টা
অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান নেশনসের (আসিয়ান) সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে মালয়েশিয়ার সমর্থন চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে যৌথ প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমরা ২০২৫ সালে আসিয়ানের আসন্ন সভাপতি পদে মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানাই। আসিয়ানের সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি। আমরা আঞ্চলিক ফোরামে বাংলাদেশের অন্তর্ভুক্তির জন্য মালয়েশিয়ার সক্রিয় ভূমিকার অপেক্ষায় রয়েছি।
দুই দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে মালয়েশিয়াকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, আনোয়ার ইব্রাহিমের সফর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। দুই মাস আগে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর কোনো দেশের প্রধানমন্ত্রীর এটি হচ্ছে প্রথম বাংলাদেশ সফর। এই সফর অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মালয়েশিয়ার সমর্থনের স্বীকৃতি।
দুই নেতার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় আলোচনার বিষয়ে তিনি জানান, তারা উভয়েই দীর্ঘদিনের দ্বিপক্ষীয় ইস্যুগুলো জারদার করতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আলোচনায় বাংলাদেশের নজিরবিহীন গণআন্দোলন বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা তাদের স্বাধীনতা ও বৈষম্যমুক্ত নতুন বাংলাদেশ গড়তে তাদের জীবন বিসর্জন দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে আমরা আমাদের ভ্রাতৃপ্রতিম দেশ মালয়েশিয়ার অবিচল সমর্থন ও সহযোগিতার প্রশংসা করি।
অভিন্ন মূল্যবোধ, আস্থা ও জনগণের কল্যাণের স্বীকৃতির মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার কথা উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, আমরা সহযোগিতা, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং সংস্কৃতির ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেছি।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবাসনের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত রোহিঙ্গা ইস্যু সমাধানের জন্য মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ইস্যুটি আসিয়ান ফোরামে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি।
আজ শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টায় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকায় পৌঁছান। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় তাকে গার্ড অব অনার ও লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়। নির্ধারিত কর্মসূচি শেষ করে সন্ধ্যায় ঢাকা ত্যাগ করেন আনোয়ার ইব্রাহিম।