November 26, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

আলোকিত মানুষ হতে হলে শ্রেষ্ঠ মানুষদের বই পড়তে হবে

‘পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষ যাঁরা, তাঁরা বেশি বেশি বই পড়তেন। তোমরা যদি আলোকিত মানুষ হতে চাও, তাহলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষদের বই বেশি বেশি পড়তে হবে, তাঁদের বই সঙ্গে রাখতে হবে। একদিন তোমাদের আলোতে আলোকিত হবে সমাজ, আলোকিত হবে দেশ। আমরা যদি মানুষে মানুষে জোড়া লাগাতে পারি, দেশটা একদিন জোড়া লেগে যাবে।’

আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের ভুঁইয়ারবাগ এলাকায় অবস্থিত বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলে বইমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও সাহিত্যিক আনিসুল হক। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ‘কৈশোর তারুণ্যে বই’–এর উদ্যোগে পাঁচ দিনব্যাপী এই বইমেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি কাশেম হুমায়ুনের সভাপতিত্বে বিদ্যালয় পরিচালনা ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল সালামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ‘কৈশোর তারুণ্যে বই’–এর পরিচালক তুষার আবদুল্লাহ্, সময় প্রকাশনের প্রকাশক ফরিদ আহমেদ, বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তর কুমার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ কলেজের উপাধ্যক্ষ রুমন রেজা, বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের ট্রাস্টি সদস্য ফয়সল আজিজ, লেখিকা কামরুন নাহার প্রমুখ।

লেখক আনিসুল হক বলেন, ‘আগস্ট শোকের মাস। ৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হারিয়েছি। বঙ্গবন্ধু বারবার জেলে গেছেন। জেল থেকে তিনি তাঁর জন্য বই পাঠাতে চিঠি লিখতেন। জেলখানায় তিনি বই পড়েছেন, বই লিখেছেন। জেলে থেকে বঙ্গবন্ধু তিনটি শ্রেষ্ঠ বই লিখেছেন—অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা, আমার দেখা নয়াচীন। তাই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মানুষদের কাছে রাখতে হলে, তাঁদের বই রাখতে হবে।’

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ করে আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা যদি তোমাদের আলোকিত করে গড়ে তুলতে পারি, তাহলে দেশ আলোকিত হবে। তাই তোমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হবে, বেশি বেশি বই পড়তে হবে। নিয়মিত তোমরা বই পড়লে অবশ্যই মানুষ হবে, তোমরা অবশ্যই জয়লাভ করবে।’

ছাত্রছাত্রীদের বেশি বেশি বই পড়ার তাগিদ দেন ‘কৈশোর তারুণ্যে বই’–এর পরিচালক তুষার আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘শুধু বই পড়লে হবে না, তুমি যে নারায়ণগঞ্জ শহরটাতে আছ, সেই শহরটাকে দেখতে হবে, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে হবে।’

বিদ্যানিকেতন হাই স্কুলে নিয়মিত বইমেলার আয়োজন করা হলেও করোনা সংকটের কারণে কয়েক বছর আয়োজন বন্ধ ছিল বলে জানান সভাপতি কাশেম হুমায়ুন। তিনি বলেন, এই স্কুলে যারা অধ্যয়ন করে, তারা বেশির ভাগ নিম্নবিত্ত ঘরের সন্তান। তাদের হয়তো টাকাপয়সা নেই, কিন্তু তারা মানসিকতায় অনেক বড়। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার জন্য লাইব্রেরিতে প্রচুর বই রয়েছে। তারা নিয়মিত লাইব্রেরিতে পড়াশোনা করে।

দক্ষিণাঞ্চল অনলাইন ডেস্ক

শেয়ার করুন: