আমরা যুদ্ধের পক্ষে নই : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা যুদ্ধের পক্ষে নই। তবে বাংলাদেশের নাগরিকদের নিরাপত্তা ও ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য পোল্যান্ড ও রোমানিয়ায় রাষ্ট্রদূতদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করছেন। সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নির্দেশ দেন। বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ কথা জানান।
তিনি জানান, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধ পর্যবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ। দেশের জনগণের কোন ধরনের ক্ষতি না হয় সেজন্য রাষ্ট্রদূতদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে বৈঠকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হন।
নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁওয়ে হচ্ছে দুটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়: নওগাঁ ও ঠাকুরগাঁও জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় নওগাঁ আইন, ২০২২’ এবং ‘ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০২২’ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠকে এসব আইনের খসড়ার অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, নওগাঁ আইনের খসড়ার বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা অনেকটা এ জাতীয় অন্যান্য আইনের মতো। আগেও বিভিন্ন জায়গায় যেভাবে বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে, সে অনুযায়ী এটা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নওগাঁ জেলায় একটি পূর্ণাঙ্গ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে এ আইনটি করা হচ্ছে। এখানে ৫৬টি ধারা আছে অন্যান্য আইনের মতোই। এখানে রাষ্ট্রপতি আচার্য হবেন। উনি একজন স্বনামধন্য শিক্ষাবিদকে চার বছরের মেয়াদে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। দুজন থাকবেন উপ-উপাচার্য, একজন থাকবেন ট্রেজারার। উনারা প্রকৃতপক্ষে দেখাশোনা করবেন। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এখানে একটি তহবিল থাকবে, রেজিস্ট্রার অফিস থাকবে। খসড়া আইনে বলা হয়েছে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম ও শিক্ষাক্রম পরিচালনার জন্য বিধি-প্রবিধি করে নিতে পারবেন। বিধি ও প্রবিধিতে সবকিছু ডিফাইন করা হবে।’
ঠাকুরগাঁও বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ঠাকুরগাঁও সফরকালে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ওই এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করার। এ আইনটিও সেইম।’ তিনি জানান, বাংলাদেশে এখন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ৫২টি এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ১০৮টি।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়