আবেগ ও ভালবাসার আরেক নাম দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন
জে এফ জয়
‘সময়ের সাথে সত্যের পথে’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ২০১১ সালের ১০ জুলাই আত্মপ্রকাশ করে ‘দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন’। না এটি কোন বিস্ময় নয়, পেশাদারিত্ব আর আন্তরিকতার ছোঁয়ায় দীর্ঘ পথ মাড়িয়ে ১৪ বছরে পদার্পণ করলো পত্রিকাটি। একটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে একা এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কত কঠিন, তা কেবল ওই প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারই জানেন। পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম সাহিদ হোসেনকে নানা ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে সফলতার তেরোটি বছর বুক চিতিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সাহস যুগিয়েছে কেবল তাঁর আত্মবিশাস। জয় করার অদম্য বাসনা তাঁকে পথ দেখিয়েছে, হৃদয়ে ছিল তাঁর বিজয়ী হওয়ার জেদ।
শুরুর কয়েক বছর ছাপা পত্রিকায় পাঠকপ্রিয়তা ধরে রেখে এখন অনলাইন জগতেও খুলনার অন্যতম গণমাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে রূপসাপাড়ের পত্রিকাটি। শুরু থেকে প্রতিনিয়ত ‘ছাপা সংস্করণ’ প্রকাশিত হয়ে আসলেও বিগত কয়েক বছর ধরে এর অনলাইন সংস্করণও প্রকাশিত হচ্ছে নিয়মিত। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সরব পত্রিকাটি।
আমাদের বিশ্বাস, মফস্বলের ছাপা কিংবা অনলাইন পত্রিকাগুলোর মধ্যে দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য নিয়ে পথ চলছে। শত শত পত্রিকার ভিড়ে পত্রিকাটি নিজস্ব মান ধরে রাখতে বদ্ধ পরিকর। সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে পত্রিকাটি তার দক্ষতা ও নিরপেক্ষতা বজায় রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকে।
নিরপেক্ষ ও তথ্যবহুল সংবাদ পরিবেশন পত্রিকাটির অন্য আরেকটি বৈশিষ্ট্য। গ্রাম ও শহরের সংবাদকে সমান গুরুত্ব দিয়ে ছাপানো হয়। আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংবাদ প্রকাশিত হয় নিয়মিত। দেশ-বিদেশের খেলাধুলার সংবাদও নিয়মিত প্রকাশিত হয়ে থাকে। এসব কারণে দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন পাঠকপ্রিয়। এটি শুধু একটি গণমাধ্যম নয়; আরো অনেক কিছু। এটি হলো একটি আবেগের নাম, ভালবাসার নাম।
১৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মাহেন্দ্রক্ষণে দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন এর সকল পাঠক, গ্রাহক, কর্মরত সাংবাদিক- লেখক- বিজ্ঞাপনদাতা- শুভান্যুধায়ীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন সম্পাদক ও প্রকাশক এস এম সাহিদ হোসেন। এক শুভেচ্ছা বার্তায় তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন এর বাঁকে বাঁকে নানা বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। সব প্রতিকূলতা পেরিয়ে পত্রিকাটি এগিয়ে চলেছে অদম্য গতিতে। আজকের এই শুভদিনে সকলকে অভিনন্দন জানাই।
দক্ষিণাঞ্চল প্রতিদিন/ জে এফ জয়