আবারও নির্বাচন করার ঘোষণা সালাহউদ্দিনের
২০০৮ সাল থেকে টানা চার মেয়াদে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন কাজী মো. সালাহউদ্দিন। আগামী ২৬ অক্টোর হওয়ার কথা বাফুফে কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন। টানা পঞ্চম মেয়াদে বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বিদায় নেয় শেখ হাসিনার সরকার। এরপর থেকে বিভিন্ন মহল থেকে উঠে তার পদত্যাগের দাবি। তবে সে দাবিকে আমলে না নিয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন কাজী সালাহউদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘আমি পদত্যাগ করব না। নির্বাচন করব। নির্বাচন করা আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটা থেকে আমাকে বঞ্চিত করবেন কীভাবে?’
পদত্যাগের দাবি প্রসঙ্গে বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বললে আমি ব্যাপারটা ভেবে দেখতাম। কিন্তু কোথা থেকে কিছু ছেলে-পেলে আমাকে হুমকি দেবে, এটা মেনে নেওয়া যায় না। ওরা (বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস) বলেছে, আমাকে যেখানে পাবে, সেখানেই নাকি মারবে। এটা তো ওরা বলতে পারে না।’
পদত্যাগ চাওয়াদের বিষয়ে প্রশ্ন তুলে, নির্বাচনের তারিখের কথা জানান বাফুফের সভাপতি। বলেন, ‘ওরা কারা? ফুটবলে ওদের কী অবদান আছে? ফুটবলের জন্য ওরা কী করেছে। ওরা বলতে পারে নির্বাচন দেন। আমি তো নির্বাচন দিয়ে দিয়েছি। ৩ অক্টোবর আমার কমিটির মেয়াদ শেষ। আমি ১৫ সেপ্টেম্বর নির্বাচন দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমার বোর্ড সেটি নিয়ে গেছে ২৬ অক্টাবর। সেই নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা না করে তারা আমাকে হুমকি দিচ্ছে। এটা কী ধরনের কথা! কোন দেশে এসে পড়লাম আমরা!’
নির্বাচন করা নাগরিক অধিকার জানিয়ে কাজী সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি তো অন্যায় কিছু করিনি, কেন সরে যাব। সরে যাওয়ার পথ তো নির্বাচন। নির্বাচনে হারলে আমি চলে যাব। সে পর্যন্ত অপেক্ষা না করে কেন এসব হুমকি দেওয়া হচ্ছে? এতে আমি ভীত নই। প্রয়োজনে আমি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রটেকশন চাইব। নাগরিক হিসেবে সে অধিকার আমার আছে।’ এ সময় তিনি জানান এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন তাকে সহায়তার কথা বলেছে, ‘এএফসি থেকে আমাকে বলেছে, আমার কোনো সহায়তা লাগবে কি না। আমি বলেছি কোনো কিছু দরকার নেই। সব ঠিক আছে। আমি তো দেশের এসব হুমকি-ধামকির কথা বলে দেশকে নিষেধাজ্ঞায় ফেলতে পারি না।’
আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ গত সরকারের সঙ্গে আমার ভালো সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আমি কখনো মন্ত্রী, এমপি হতে চেয়েছি? চাইনি। আমার কাছে ঢাকার মেয়র হওয়ার অফার ছিল। কিন্তু আমি হইনি। আমি ফুটবল নিয়েই থাকতে চেয়েছি আর সেটা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে। আমি প্রথমবার যখন নির্বাচন করি ২০০৮ সালে, তখন তো আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচন করেছি। বাদল, সালাম, নাবিলরা তো আমার প্যানেলে ছিল না। এভাবে প্রতিবারই আমি ভোটে জিতেছি।’