‘আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা’
গত ১৮ জুলাই আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
আজ শুক্রবার নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটিতে (এনএসইউ) ‘দ্য রোল অব নিউ মিডিয়া ইন রেভল্যুশন অ্যান্ড রি-বিল্ডিং’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন। এনএসইউর মিডিয়া, কমিউনিকেশন অ্যান্ড জার্নালিজম (এমসিজে) প্রোগ্রাম এ সেশনের আয়োজন করে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ‘ডিগনিটি’র প্রশ্নে আন্দোলনে নেমেছিল জানিয়ে প্রেস সচিব বলেন, ‘এ আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তাদের প্রতিরোধ এ আন্দোলনের গতি সঞ্চার করে। এটিও ‘নিউ মিডিয়া’র কারণে সম্ভব হয়েছে।’
প্রেস সচিব বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনে বেসরকারি নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা বুক পেতে দিয়েছেন। কিন্তু এটি গণমাধ্যমে সেভাবে আসেনি। এটি গণমাধ্যমের ব্যর্থতা। এ আন্দোলনে ১৮ ও ৩০ জুলাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ দিন। ১৮ জুলাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ এবং ৩০ জুলাই শেখ হাসিনাকে ‘লাল কার্ড’ দেখানো তার অন্যতম বড় দিক।’
অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং আন্দোলনের পরিচিত মুখ মানজুর আল মাতিন বলেন, ‘এ আন্দোলনে আমি রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ এবং এনএসইউর গ্রুপগুলোতে ছিলাম। সেখানে আমি দেখেছিলাম, কীভাবে ‘সিভিল ওয়ারে’র প্ল্যান সাজানো হয়েছিল।’
পতিত স্বৈরাচার জনগণকে রাস্তায় নামতে বাধ্য করেছে জানিয়ে মানজুর বলেন, ‘এ আন্দোলনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক ছিল ‘দ্বিমত’ প্রকাশের স্বাধীনতাও। আমি আমার মত প্রকাশ করব, যেটি কারো সাথে মিলবে না। কিন্তু তাতে কেউ বাধা দেবে না।’
আন্দোলনে সবার অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখ তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, স্কুল, কলেজ এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের বড় ভূমিকা ছিল। এর বাইরে সাধারণ মানুষ, রিকশাচালক সবাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। এটিও ‘নিউ মিডিয়া’র কারণে সম্ভব হয়েছে।’
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির এমসিজে প্রোগামের শিক্ষক ড. শরিফুল ইসলাম ইমশিয়াত। এ সময় সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।