আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থার সুপারিশ
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক নির্বাচন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সুপারিশ জানিয়েছে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)। ভোটার সচেতনতা ও নাগরিক সক্রিয়তা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সংস্কার কমিশনের কাছে জন-আকাঙ্ক্ষাভিত্তিক সুপারিশমালা প্রণয়নের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সুজন।
শনিবার (২ নভেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর চট্টগ্রাম থিয়েটার ইনস্টিটিউট হলে এ সংবাদ সম্মেলনে আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার। এসময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন সুজন চট্টগ্রাম বিভাগীয় আহ্বায়ক অধ্যাপক সিকান্দার খান এবং সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আখতার কবীর চৌধুরী।
জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগকে দলীয় প্রভাবমুক্ত করার সুপারিশ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। পাশাপাশি নির্বাচন নির্দলীয় ভিত্তিতে আয়োজন করা, সাধারণ ভোটারদের প্রত্যক্ষভোটে জেলা পরিষদ নির্বাচন আয়োজন করা, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের অবসান ঘটানো, বিরোধীদের দমনপীড়নের সংস্কৃতির অবসান ঘটনার বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সুপারিশ করে সুজন।
বাংলাদেশের নির্বাচনব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনের সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে নতুন নির্বাচন কমিশন আইন প্রণয়ন, নিয়োগ আইনে কমিটিতে সরকারি ও বিরোধী দলের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা, এক-তৃতীয়াংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিতকরণ, ‘না’ ভোটের বিধান চালু, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশসহ বিধিমালার সংশোধন করতে হবে। জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের অগ্রাধিকারগুলোর মধ্যে জনপ্রশাসনকে সম্পূর্ণ দলীয়করণমুক্ত করা, কোনো দলীয় কর্মসূচিতে সরকারি কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণ অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের জন্য সুপারিশগুলোর মধ্যে মাজদার হোসেন মামলার রায়ের যথাযথ বাস্তবায়ন করার সুপারিশ করা হয়।