আতঙ্কিত হবেন না, তাদের হরতালে কিছুই হবে না: ডিএমপি কমিশনার
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রায় সাড়ে ছয় মাস আগে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ কর্মসূচির মাধ্যমে আবার রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা করছে। দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী দেশে-বিদেশে পালিয়ে ও আত্মগোপনে থাকলেও দলটির ফেসবুক পেইজ থেকে আগামীকাল মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) হরতালের ডাক দেওয়া হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগকে কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগের হরতাল প্রতিরোধে নগরীতে পুলিশ কড়া অবস্থানে রয়েছে।
রাজধানীবাসীকে আশ্বস্ত করে নগর পুলিশের এই প্রধান বলেন, আপনারা আতঙ্কিত হবেন না। তাদের হরতালে কিছুই হবে না।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপপুলিশ কমিশনার তেজগাঁও বিভাগের সংস্কারকৃত কার্যালয়ের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন ডিএমপি কমিশনার।
আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেইজে ডাকা হরতাল নিয়ে পুলিশের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব প্রস্তুতি আছে। পুলিশের অতিরিক্ত ফোর্স মাঠে আছে। বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। কোনো কিছুতে নগরবাসী আতঙ্কিত হবেন না। খারাপ কোনো কিছু ঘটবে না।
সাজ্জাত আলী বলেন, ফেসবুকে দেখা যাচ্ছে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগ হরতালের ডাক দিয়েছে। আমরা পুরো রাজধানীতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। অতীতেও তারা (আওয়ামী লীগ) ফেসবুকে এমন প্রোগ্রাম দিয়েছে, আমরা তা মোকাবেলাও করেছি।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখন আমাদের বড় সমস্যা নানা গোষ্ঠী বিভিন্ন দাবি-দাওয়া নিয়ে রাস্তায় নামছে। রাস্তা নেমে যানচলাচল বন্ধ করে মানুষের দুর্ভোগে ফেলছে। আমি সরাসরি আন্দোলনরতদের বলেছি আপনারা রাস্তা বন্ধ করবেন না। এতে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সসহ অনেকের নানা কষ্ট হয়। দাবি-দাওয়া আদায়ের স্থান রাস্তা হবে পারে না। দাবি-দাওয়া সংশ্লিষ্ট দফতরে গিয়ে টেবিলে বসে সমাধান করেন। ঢাকাবাসীকে সড়কে কষ্ট দিয়ে দাবি আদায় মর্মাহত ঘটনা।
এর আগে জুলাই আন্দোলনে পুড়ে যাওয়া ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনারের (ডিসি) কার্যালয় নতুন করে সংস্কার শেষে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম, যুগ্ম কমিশনার ফারুক হোসেন, মো. শহীদুল্লাহ, তেজগাঁও বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান, তেজগাঁও ট্রাফিক বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) রফিকুল ইসলাম, মোহাম্মদপুর জোনের অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) জুয়েল রানাসহ পুলিশের বিভিন্ন কর্মকর্তা।