আগে ট্রাম্পকে সামলান, পরে বাংলাদেশে আসেন
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের জন্য যে ভিসানীতি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এর সমালোচনা করে বলেছেন, আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট) সামলান, এরপর বাংলাদেশে আসেন। এত বড় দেশ আমেরিকাকে বাংলাদেশ নিয়ে চিন্তা না করারও পরামর্শ দেন তিনি।
বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাজীপুরের টঙ্গীর শফি উদ্দিন একাডেমির মাঠে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্দেশ্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমেরিকাকে বলি ট্রাম্পকে আগে সামলান। তারপর ভিসানীতি। আমাদের বিষয়ে কেন এত মাথা ঘামান। এত বড় দেশ, বাইডেন সাহেব এত বড় বিশ্ব নেতা, কিন্তু আপনার দেশে জনমত জরিপে ট্রাম্পের নিচে আপনি। আপনি প্রেসিডেন্ট থাকেন আমাদের আপত্তি নেই। কিন্তু আপনি নিজের দেশে ট্রাম্পকে সামলাতে পারেন না। এক ট্রাম্প আপনার ঘুম হারাম করে দিয়েছেন।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা গণতন্ত্র রক্ষাকারী নেতা। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় এলে এই গণতন্ত্র ধ্বংস করবে। বিএনপির জগাখিচুড়ির ঐক্য দিয়ে শেখ হাসিনাকে হটানো যাবে না। শেখ হাসিনা ছাড়া যোগ্য নেতা নাই। শেখ হাসিনা ছাড়া যোগ্য কোনো প্রধানমন্ত্রী দেখেন? শেখ হাসিনা থাকলে গণতন্ত্র থাকবে। শেখ হাসিনা থাকলে উন্নয়ন থাকবে। তিনি তিন ঘণ্টা ঘুমান, বাকি সময় জনগণের কথা ভাবে।’
বিএনপির এক দফাকে ভুয়া উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ওদের ঘরের মধ্যে ঘর, মশারির মধ্যে মশারি, ওদের অক্টোবর, এক দফা, সাতাশ দফা, বাইশ দফা ও গণতন্ত্র ভুয়া, ওদের ক্ষমতা ও রাজপথের আন্দোলন ভুয়া।
বিএনপি মহাসচিবের সমালোচনা করে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দয়া করে, মহানুভবতা দেখিয়ে খালেদা জিয়াকে বাসায় রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন, অথচ মির্জা ফখরুল ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়, ৪৮ মিনিটও খালেদা জিয়ার জন্য একটা আন্দোলন করতে পারেনি।
কাদের বলেন, খেলা হবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, হাওয়া ভবনের বিরুদ্ধে। তারেক রহমানের বিরুদ্ধে।
বিএনপিকে নিজের ঘর সামলানোর পরামর্শ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, এক তৃণমূল হয়েছে আরও কত হবে। ঘরের আগুনে পুড়ে মরবে ওরা।
দ্রব্যমূল্যের বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সংকট বেশিদিন থাকবে না। এই সংকট ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের, এই সংকট বড় বড় শক্তির খেলা। আমরা গরিব দেশ শাস্তি পাচ্ছি। আমরা কোনো অপরাধ করিনি। তবে সংকট বেশিদিন থাকবে না। নেত্রী এটি সামাল দিচ্ছেন। আস্তে আস্তে দ্রব্যমূল্য কমে যাবে। আস্তে আস্তে মানুষের কষ্ট দূর হবে।’
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল-আলম হানিফ এমপি, আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, এসএম কামাল হোসেন, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহ্সান রাসেল এমপি, সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ, বেগম সামসুন নাহার ভূঁইয়া।