আগামীকালই এশিয়া কাপ নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা বাংলাদেশের
হামজা-সামিত সোম আসার পর বাংলাদেশ পুরুষ ফুটবল দলের এশিয়ান কাপ খেলার সম্ভাবনা জেগেছে। হামজাদের আগে আগামীকালই আফিদা-ঋতুপর্ণাদের এশিয়ান কাপ নিশ্চিত হয়ে যেতে পারে। নারী এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে আগামীকাল স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারালে বাংলাদেশ নারী ফুটবলে প্রথমবারের মতো এশিয়ার সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেলার সুযোগ পাবে।
টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী, আগামীকাল স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারালে এবং গ্রুপের পরের ম্যাচের ফলাফল বাংলাদেশের অনুকূলে আসলে কালই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ইতিহাস রচিত হবে।
এক ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েরই তিন পয়েন্ট। আগামীকাল বাংলাদেশ মিয়ানমারকে হারালে দুই ম্যাচ শেষে ছয় পয়েন্ট হবে। একই ভেন্যুতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার ম্যাচে তুর্কমেনিস্তান ও বাহরাইনের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হলে আগামীকালই বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলা নিশ্চিত হবে।
টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী, আগামীকাল স্বাগতিক মিয়ানমারকে হারালে এবং গ্রুপের পরের ম্যাচের ফলাফল বাংলাদেশের অনুকূলে আসলে কালই বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ইতিহাস রচিত হবে।
এক ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার উভয়েরই তিন পয়েন্ট। আগামীকাল বাংলাদেশ মিয়ানমারকে হারালে দুই ম্যাচ শেষে ছয় পয়েন্ট হবে। একই ভেন্যুতে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাতটার ম্যাচে তুর্কমেনিস্তান ও বাহরাইনের মধ্যকার ম্যাচটি ড্র হলে আগামীকালই বাংলাদেশের এশিয়া কাপ খেলা নিশ্চিত হবে।
আগামীকাল বাংলাদেশ ও তুর্কমেনিস্তান জিতলে তখনই কেবল অপেক্ষায় থাকতে হবে। কারণ তখন শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে হারলে বাংলাদেশ ও তুর্কমেনিস্তানের সমান ৬ পয়েন্ট হবে। আবার শেষ ম্যাচে মিয়ানমার বাহরাইনাকে হারালে তাদেরও ৬ পয়েন্ট হবে। তখন তিন দলের সমান ছয় পয়েন্ট হলে তিন দলেরই এক অন্যের সঙ্গে জয় ও হারের ঘটনা থাকবে। তখন এই দলের মধ্যকার গোল ব্যবধান, গোল বেশির বিষয়গুলো বিবেচনা আসবে। এতে নিষ্পত্তি না হলে সামগ্রিক গ্রুপের গোল ব্যবধান গণ্য হবে।
কাগজে-কলমে নানা হিসাব নিকাশে বাংলাদেশের আগামীকাল এশিয়া কাপ খেলা নিশ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। বাস্তবে অবশ্য ৯০ মিনিট কঠিন লড়াই করতে হবে রুপ্না চাকমা ও ঋতুপর্ণাদের। মিয়ানমারের ফুটবল র্যাংকিং ৫৫। সেখানে বাংলাদেশের ১২৮। দুই দলের শক্তিমত্তার পার্থক্য আরো স্পষ্ট বছর পাচেক আগে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ মিয়ানমারের বিপক্ষে ৫-০ গোলের হার। এই সময়ের ব্যবধানে বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অনেক উন্নতি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলে টানা দুই বার চ্যাম্পিয়ন। দক্ষিণ এশিয়ার গন্ডির বাইরেও এখন সমীহ আদায় করছে নিয়মিত।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ৩০-৫০ ধাপ উপরের র্যাংকিংধারী দলের বিপক্ষে খেলে পয়েন্ট আদায় করেছে। সেই আশা নিয়ে আগামীকালও নামবেন পিটার বাটলারের শিষ্যরা। তবে জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, বাহরাইনের তুলনায় অনেক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মিয়ানমার। নারী এশিয়ান কাপ ফুটবলে তারা অনেকটাই নিয়মিত দল।
আগামীকালের ম্যাচ ড্র হলে গ্রুপের শেষ ম্যাচটি আরো উপভোগ্য হয়ে উঠবে। কারণ তখন বাংলাদেশ মিয়ানমারের পয়েন্ট, হেড ও টু হেড সমান থাকবে। সেই সময় গোল ব্যবধান হিসাবে আসবে। প্রথম ম্যাচে মিয়ানমার তুর্কমেনিস্তানকে ৮ গোল দিয়েছিল। বাংলাদেশ বাহরাইনকে ৭ গোল। কাল ড্র হলে শেষ ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে বাংলাদেশকে বেশি গোল দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্য বাংলাদেশের সুবিধা থাকবে। কারণ ৫ জুলাই স্থানীয় সময় বিকেল চারটায় মিয়ানমার-বাহরাইন ম্যাচ। সেই ম্যাচের স্কোরলাইনের পরই সন্ধ্যা সাতটার ম্যাচে বাংলাদেশ নিশ্চিত হতে পারবে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে তুর্কমেনিস্তানকে কয়টি গোল দিতে হবে।