আইরিশদের কাছে জ্যোতিদের সিরিজ হার
৩৬ বলে তখন দরকার ৫৮ রান। কিছুটা চ্যালেঞ্জের হলেও হাতে ৫ উইকেট থাকায় সিরিজ সমতার আশা হয়তো তখনো দেখেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন শুরু। ১৯ বল খেলতেই বাকি পাঁচজন ব্যাটারকেও হারায় স্বাগতিকরা। এতে সিরিজটাও হয় হাতছাড়া। এক ম্যাচ বাকি রেখেই ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নিল আয়ারল্যান্ড। ওয়ানডেতে হোয়াইটওয়াশ হয়েছিল তারা। কিন্তু এবার টি-টোয়েন্টিতে স্বাগতিকদেরই হোয়াইটওয়াশ করার পথেই এগিয়ে গেল সফরকারীরা।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় ম্যাচে ৪৭ রানে জিতেছে আইরিশরা। আগে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৪ রান তোলে তারা। রান তাড়ায় মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে গেছেন জ্যোতিরা। ব্যাট হাতে ৩২ রান ও বোলিংয়ে ১৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন আইরিশ অলরাউন্ডার ওরলা প্রেন্ডারগাস্ট।
খুব বড় লক্ষ্য ছিল না। আগের ম্যাচে রেকর্ড জুটি গড়েছিলেন স্বাগতিক ওপেনাররা। কিন্তু এবার শুরুতেই চাপে পড়ে তারা। দ্বিতীয় ওভারেই ফেরেন ওপেনার সোবহানা মোস্তারি। তিনে নেমে ব্যর্থ অধিনায়ক জ্যোতিও। আরেক ওপেনার দিলারা আক্তারও এবার চেনা ছন্দে ছিলেন না। টপ অর্ডারের এমন ব্যর্থতার চিত্র দেখা মিডল অর্ডারেও। ছন্দে থাকা শারমিন আক্তার সুপ্তা একপাশ আগলে এগিয়ে নিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু সতীর্থদের ব্যর্থতা তাকেও রান তোলার সুযোগ দিল না। স্বর্ণা আক্তারের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি বাধেন সুপ্তা। স্বর্ণা ২০ রান করে ফেরার পর সুপ্তাও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ৩৮ রান করে থামেন তিনিও। এরপর লোয়ার মিডল অর্ডারে কেউই দুই অঙ্কও ছুঁতে পারেনি। বড় ব্যবধানেই ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশের নারীরা।
টস জিতে আগে ব্যাটিং করা আইরিশরা ভালো শুরু পেয়েছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ৩৪ রান তোলে তারা। এরপর আরও কয়েকটি ছোট ছোট জুটিতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় আইরিশরা। শেষ পর্যন্ত বড় জয়ে সিরিজ নিশ্চিত করেন তারা।