November 14, 2024
আন্তর্জাতিক

অস্তিত্ব রক্ষায় ইরান পারমাণবিক অস্ত্রের দিকেও ঝুঁকতে পারে!

ইরানের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কৌশলগত পরিষদের প্রধান ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী কামাল খাররাজি বলেছেন, অস্তিত্ব রক্ষার জন্য ইরান তার সামরিক নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনতে পারে। এমনকি পারমাণবিক অস্ত্রের দিকেও ঝুঁকতে পারে।

শুক্রবার তেহরানে লেবাননের আল-মায়াদিন নিউজ চ্যানেলকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে এ হুঁশিয়ারি দেন খাররাজি। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

তিনি বলেন, প্রজাতন্ত্র ইরানের অস্তিত্বের জন্য হুমকি তৈরি করা হলে আমরা নিশ্চিতভাবে আমাদের সামরিক নীতিতে আমূল পরিবর্তন আনব। দেশের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বৃদ্ধি করা হতে পারে।

তিনি সুস্পষ্টভাবে বলেন, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা অর্জন করেছে ইরান। কিন্তু গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির বিরুদ্ধে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির ফতোয়ার কারণে তা তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে না।

তিনি সামরিক নীতিতে ‘আমূল পরিবর্তন’ বলতে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির ফতোয়া পরিবর্তন বুঝিয়েছেন বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

সাক্ষাৎকারে ইরান এতদিন ইউরোপীয় দেশগুলোর কারণে নিজের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বাড়ায়নি বলে জানান কামাল খাররাজি।

তিনি বলেন, এতদিন আমরা পশ্চিমাদের, বিশেষ করে ইউরোপীয়দের স্পর্শকাতরতার কথা বিবেচনা করেছি। কিন্তু যখন তারা আমাদের ব্যাপারে বিশেষ করে ইরানের ভৌগোলিক অখণ্ডতার ব্যাপারে স্পর্শকাতরতা দেখাতে ব্যর্থ হবে তখন তাদের স্পর্শকাতরতা বিবেচনা করার কোনো কারণ থাকবে না।

ইরানের সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কাজেই, ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা বৃদ্ধি করার একটি সম্ভাবনা রয়েছে।

ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সাম্প্রতিক সামরিক আগ্রাসনের জবাব দেয়া হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে খাররাজি বলেন, ইরান অবশ্যই উপযুক্ত সময়ে ইসরায়েলকে জবাব দেবে। ইরান গোটা অঞ্চলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ুক তা চায় না- উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে আমরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছি।

উল্লেখ্য, খামেনি ২০০০ সালের দিকে একটি ফতোয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের বিকাশ নিষিদ্ধ করেছিলেন, ২০১৯ সালে তার অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করে বলেছিলেন- পরমাণু বোমা তৈরি করা এবং মজুদ করা ভুল এবং এটি ব্যবহার করা হারাম।

শেয়ার করুন: