অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড হারে সমতায় ফিরল প্রোটিয়ারা
সিরিজ বাঁচানোর লক্ষ্যে নেমে রেকর্ডগড়া সেঞ্চুরিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ২১৮ রানের বড় পুঁজি এনে দিয়েছিলেন ডেওয়াল্ড ব্রেভিস। অস্ট্রেলিয়ান বোলারদের তুলোধুনো করে তিনি টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরি ও সর্বোচ্চ ১২৫ রানের ইনিংস তো খেলেছেন। পরে লক্ষ্য তাড়ায় ১৬৫ রানে অলআউট হয়ে নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হেরেছে অস্ট্রেলিয়া।
টি-টোয়েন্টিতে অজিরা ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ব্যবধানে হেরেছে ৮৯ রানে, ২০২২ সালে সিডনিতে তাদের তিক্ত স্বাদ দেয় নিউজিল্যান্ড। এরপরই রানের নিরিখে বড় ব্যবধানে তাদের হার এলো আজ। একইসঙ্গে টানা ৯ টি-টোয়েন্টি জয়ের পর হার দেখল ম্যাক্সওয়েল-হ্যাজলউডরা। যা দক্ষিণ আফ্রিকাকে সমতায় ফেরানোর পাশাপাশি সিরিজেও টিকিয়ে রেখেছে।
ডারউইনে আগে ব্যাট করতে নামা প্রোটিয়াদের আজ পথ দেখান মূলত ব্রেভিস–ই। এ ছাড়া দলটির আর কেউই ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। অথচ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে আজই প্রথম ফিফটি পেলেন ব্রেভিস, এরপর ঝোড়ো ব্যাটিং অব্যাহত রেখে সেটিকে তিনি সেঞ্চুরিতে রূপ দেন। ডানহাতি এই ব্যাটার ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন ৫৬ বলে ৮ ছক্কা ও ১২ চারে। যা টি-টোয়েন্টিতে প্রোটিয়াদের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে ফাফ ডু প্লেসি দলটির পক্ষে সর্বোচ্চ ১১৯ রান করেন ২০১৫ সালে, প্রতিক্ষ ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এ ছাড়া ব্রেভিস প্রোটিয়াদের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে সর্বকনিষ্ঠ সেঞ্চুরির রেকর্ডও গড়লেন। আজ তিনি মাঠে নামেন ২২ বছর ১০৫ দিন বয়সে। এর আগে প্রোটিয়া ব্যাটার রিচার্ড লেভি ২০১২ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৪ বছর ৩৬ দিন বয়সে সেঞ্চুরি করেছিলেন। ব্রেভিস সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৪১ বলে, যা দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে যা দ্বিতীয় দ্রুততম। এর আগে ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩৫ বলে সেঞ্চুরি করেন ডেভিড মিলার। এদিকে, ব্রেভিস ছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ত্রিস্তান স্টাবস করেন ৩১ রান। তাতেই অবশ্য দলটির স্কোরবোর্ডে ওঠে ৭ উইকেটে ২১৮ রান। অজিদের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন বেন দারউইশ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। টিম ডেভিড ছাড়া বলার মতো রানও পাননি কেউই। বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে ২৩ বলে তিনি ফিফটি পূর্ণ করেন। চারটি করে ছক্কা-চারে ঠিক ৫০ রান করে আউট হন ডেভিড। এ ছাড়া অ্যালেক্স ক্যারি ২৬ ও মিচেল মার্শ ২২ রান করেন। প্রোটিয়াদের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন কেনা মাফাখা ও করবিন বশ। সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে অলিখিত ফাইনাল। আগামী শনিবার দুই দল সিরিজনির্ধারণী ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে।