অবরোধের আগের রাতে রাজধানীতে ৩ বাসে আগুন
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি বিরোধী দলের ডাকা দুই দিনের সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচির আগের রাতে রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যার পর নিউ মার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড এবং সায়েদাবাদ এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি করে ছয়টি ইউনিট আগুন নেভাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার রোজিনা আক্তার ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার জানান, নিউমার্কেটের গাউছিয়া মার্কেটের সামনে মিরপুর লিংক পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পলাশী ব্যারাক ফায়ার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট রাত সাতটা ৪০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। অন্যদিকে এলিফ্যান্ট রোডের মাল্টিপ্লান সিটির সামনে গ্রিন ইউনিভার্সিটির একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। বাসটিতে ৭টা ৩৫ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এরপর ৭টা ৪৩ মিনিটে তারা সিদ্দিক বাজার স্টেশন থেকে দুটি ইউনিট নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
কাছাকাছি সময়ে সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ে আরেকটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটে। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছে বলে জানান রোজিনা।
এই কর্মকর্তা জানান, খবর পাওয়া মাত্রই ফায়ার সার্ভিসের দুটি করে ইউনিট ঘটনাস্থলে ছুটে গেছে। তবে কে বা কারা আগুন দিয়েছে সে সম্পর্কে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর নেই বলে জানান ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা।
দীর্ঘদিন ধরে এক দফার দাবিতে আন্দোলন করে আসা বিএনপি গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ডাক দেয়। এতে সারাদেশ থেকে দলটির লাখো নেতাকর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হন। তবে মহাসমাবেশের শুরুতেই পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক সংঘর্ষে জড়ায় দলটির নেতাকর্মীরা। তাদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত এবং অনেকে আহত হন। এক যুবদল নেতাও মারা যান। পরে পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে নয়াপল্টনের দখল নেয়।
পুলিশি অভিযানের মুখে মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যাওয়ায় পরদিন ২৯ অক্টোবর সারাদেশে হরতালের ডাক দেয় বিএনপি। হরতাল পালন শেষে এক দিনের বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর এবং ১ ও ২ নভেম্বর সারাদেশে টানা সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দেয় বিএনপি। সেই কর্মসূচি শেষ হওয়ার পর আবারও দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেয় বিএনপি, যা আগামীকাল ভোর থেকে শুরু হবে। বিএনপির এই কর্মসূচির সঙ্গে মিল রেখে একই কর্মসূচি দিয়েছে জামায়াতে ইসলামীও। সঙ্গে আরও কয়েকটি বিরোধী দল রয়েছে এই আন্দোলনের সঙ্গে।